রাবির সাবেক শিবির নেতা ইমনের আত্মসমর্পণ


রাবি প্রতিনিধি: ২০১৩ সালে রাজশাহীতে আলোচিত পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যা মামলার এক আসামি আশরাফুল ইসলাম ইমন আত্মসমর্পণ করেছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আশরাফুল ইসলাম ইমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি।

পরে, তিনি রাজশাহী মহানগর শিবিরেরও সভাপতি ছিলেন। এ‌ মামলাটি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলেন, ইমন পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যার বিস্ফোরক মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত উনাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইমনের বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হত্যা, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলা, ইট দিয়ে পুলিশের মাথা থেঁতলে দেওয়া, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনের ওপর নৃশংস হামলার পর পায়ের রগ কেটে দেওয়া, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তাকিমের রগ কেটে দেওয়া এবং আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে বাস পোড়ানোসহ অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মোট ৪২টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে একাধিক মামলা এখনো চলমান আছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার রাজাহাতা লোকনাথ স্কুল মোড়ে তৎকালীন ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে পুলিশের চলন্ত ট্রাকে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় পুলিশের বেশ কিছু সদস্য আহত হন। এর মধ্যে আহত কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকারের অবস্থার গুরুতর হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কনস্টেবল সিদ্ধার্থ মারা যান।

এছাড়া এ ঘটনায় আরও আহত হন ৮ পুলিশ সদস্য। ওই রাতেই বোয়ালিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তৎকালীন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপি সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপি সভাপতি নাদিম মোস্তফা ও মহানগর জামায়াত সহকারী সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১৮ দলের সাড়ে ৩শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।