রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: বিভিন্ন সালের সরকারী পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতের আধারে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বই গুলো অবৈধ ভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর রাতের আধারে চরশৌলমারী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত রাখা মাধ্যমিক স্তরের ২০১৩ সাল হতে ২০২০ সালের সরকারী বই ও পরিক্ষার খাতা ১৬শ’ত কেজি ম্যানেজিং কমিটির অজান্তে এবং রেজুলেশন ছাড়াই চরশৌলমারী বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৩ টাকা দরে অবৈধ ভাবে বই গুলো বিক্রয় করেন।
এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ খৃষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। বর্তমানে ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ শত জণ শিক্ষার্থী রয়েছে বিদ্যালয়টিতে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, প্রধান শিক্ষকের অবৈধ ভাবে বই বিক্রির ঘটনা এর আগেও ছিল। আমরা শুনেছি এবারেও প্রায় ১৬ শ’ত কেজি সরকারি বই বিক্রির ঘটনা ঘটিয়েছে এবং শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানান।
বই ক্রয় ব্যবসায়ী আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আমি বই, খাতাসহ এলাকায় বিভিন্ন ভাঙ্গরি মালামাল ক্রয় করে থাকি। গত বুধবার চর শৌলমারী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে নিয়ে তার স্কুলের বই আমার কাছে বিক্রয় করে দেন। তা আমি কিনে নিয়েছি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিন ব্যাপারিকে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নি।
চরশৌলমারী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের টয়লেট কক্ষে বই গুলো রাখা হয়েছিল। টয়লেট ব্যবহারের লক্ষে বই গুলি রাখার অন্য কোন স্থান না থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক স্যারকে বলে বই গুলি বিক্রি করে দিয়েছি। বিক্রিত অর্থ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম বলেন, সরকারী বই বিক্রির কথা শুনেছি।
তবে সরকারী অনুমতি ছাড়া বই বিক্রি করলে তা সম্পন্ন অবৈধ। এ ব্যপারে মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার মুক্তার হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।