লাল তালিকাভুক্ত দেশে খেলোয়াড়দের যেতে দেবে না ইপিএল


আগামী মাস থেকেই শুরু হবে খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক বিরতি। এই সময়ে ফুটবলাররা নিজ দেশের হয়ে খেলতে যাবেন। কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন খেলোয়াড়রা। কিন্তু এখানেই বিপত্তি তৈরি হয়েছে। কারণ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়রা করোনার লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলোতে খেলতে যেতে পারবেন না।

করোনার প্রকোপে লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলোতে খেলোয়াড়দের যাওয়ার অনুমতি দেয়নি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল)। লিগটির বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ইএসপিএন ফুটবল।

যুক্তরাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ইপিএলকে। কারণ লাল তালিকায় থাকা দেশগুলোতে গেলে যুক্তরাজ্যে ফিরতে হলে খেলোয়াড়দের বাধ্যতামূলক ১০দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবে হবে। এতে ক্লাবের হয়ে অনেকগুলো ম্যাচ মিস করতে হবে ফুটবলারদের। এই জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিএল।

এক বিবৃতিতে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাল তালিকায় থাকা দেশগুলোতে খেলোয়াড় যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনিচ্ছাকৃত হলেও তা সর্বসম্মতিক্রমে মেনে নিয়েছে ক্লাবগুলো। তাই আন্তর্জাতিক বিরতিতে ১৯টি ক্লাবের প্রায় ৬০ জন খেলোয়া ২৬টি দেশে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে যেতে পারবেন না।

ইএসপিএনের প্রতিবেদন অনুসারে প্রিমিয়ার লিগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড বলেছেন, ‘প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো সবসময় তাদের খেলোয়াড়দের তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছাকে সমর্থন করেছে। এটা সবার জন্যই গর্বের বিষয়। কিন্তু এবার ক্লাবগুলি অনিচ্ছাকৃতভাবে এই সিদ্ধান্তে গেছে। কারণ এতদিন কোয়ারেন্টিনে থাকলে খেলোয়াড়দের ফিটনেসেও প্রভাব পড়বে।

যুক্তরাজ্যের লাল-তালিকাভুক্ত আছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলো আছে। যেখানকার বড় বড় তারকারা প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন। ব্রাজিল থেকেই প্রিমিয়ার লিগে আছেন এদেরসন মোয়ারেস, গাব্রিয়েল জেসুস, অ্যালিসন বেকার, ফ্যাবিনহো, রবার্তো ফিরমিনো, রিচার্লিসন, ফ্রেড, থিয়াগো সিলভা ও রাফিনহোর মতো তারকারা। আর্জেন্টিনার দলের আছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, জিওভানি লো সেলসো ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়াররা।

মিশরের মোহাম্মদ সালাহও খেলছেন প্রিমিয়ার লিগে। তাই শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে বদল আসে কি না সেটাই দেখার। তবে এরই মধ্যে সরকারের কাছে কোয়ারেন্টিন নিয়ে ছাড় চেয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব। কিন্তু এখনো সরকার কোনো সাড়া দেয়নি।