শিবগঞ্জের জলবদ্ধতায় রাস্তাগুলো এখন মরণফাঁদ , জনদূর্ভোগ চরমে


ফয়সাল আজম অপু: শিবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে পাকা রাস্তার উপর জলবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একলাকাবাসী আবেদন করেছেন।গত ২৫/০৬/২০২০খ্রি. তারিখে মনাকষা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মনাকষা গ্রামের ২০/২৫ জনের একটি স্বাক্ষরিত ও গত ২১/০৬/২০২০খ্রি. তারিখে পারচৌকা গ্রামের ৬০/৬৫ জনের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, মনাকষা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের অর্ন্তভুক্ত পারচৌকা গ্রামে বীরেন মোড়ে মোবারক হোসেনের চায়ের দোকানের সম্মুখ থেকে মৃত সাব্বির উদ্দিন চালকার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১শ মিটার পাকা রাস্তা, মনাকষা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অর্ন্তভুক্ত শিবগঞ্জ-খাসের হাট রাস্তায় মনাকষা অগ্রণী ব্যাংকের সম্মুখ হতে মনাকষা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ১৫০মিটার রাস্তা, বাজারের পশ্চিমে গরুর হাট সংলগ্ন ও খড়িয়াল গ্রামের মাথায় মহসিনের মনোহরীর দোকান হতে রাজুর দোকান পর্যন্ত প্রায় ১শ মিটার রাস্তা, নামোটোলা গ্রামে সামাদ ব্যাংকারের বাড়ির সামনে ও টোকনা গ্রামে প্রায় সম্পূর্ণ রাস্তা, শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট-ভোলাহাট সড়কের মোবারকপুর ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামের মধ্যে প্রায় ১৫০ মিটার রাস্তার বেহাল দশা হয়েছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, রাস্তায় পানি জমে একাকার হয়ে আছে। এ সামান্য রাস্তায় আগে থেকেই ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি থাকা ও বর্তমানে বৃষ্টির পানিতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে জলদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। মনাকষা বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও প্রায় প্রতিটি দোকানদার নিজ দোকানের সামনে ড্রেনে ময়লা আবর্জনা ফেলে ড্রেন বন্ধ করে দিয়েছে বলে অসংখ্য অভিযোগ। বারবার সংস্কার করার পরও একই অবস্থা থাকছে। সাম্প্রতিককালে ড্রেন সংস্কারের কাজ শুরু হলেও একদিক থেকে সংস্কার করছে অন্যদিক থেকে আবার ড্রেনে ময়লা আবর্জনা ফেলায় আবার বন্ধ করার পায়তার শুরু করে দিয়েছে। যদিও বাজারের পাশেই নদী ও বড় বড় পুকুর রয়েছে। উল্লেখ্য যে, মনাকষা বাজারে এ সমস্য দীর্ঘ দিনের। মনাকষা বাজারের পাশে অগ্রণী ব্যাংকের সামনে ও মনাকষা বাজারে পশ্চিমে খড়িয়ালের মাথায় কয়েকজন প্রভাবশালী দোকানদার ড্রেনগুলি বন্ধ করে দিয়ে ড্রেনের স্থানটুকু নিজস্ব কাজে ব্যবহার করায় ও রাস্তার পাশে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেয়ায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মোবারকপুরের গঙ্গারামপুরের স্থানীয় লোকজন জানান, করোনা ভাইরাস শুরুর আগে এ রাস্তাটুকু সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস ছড়ানোর সাথে কাজ স্থগিত হয়ে গেছে। তখন থেকে মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করছে। উল্লেখ্য যে, শিবগঞ্জের আরো কয়েকস্থানে একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বী বলেন, জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া সব রাস্তায় তদন্ত সাপেক্ষে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চলাচলের যোগ্য করে জনদূর্ভোগ দূর করব ।