শিবগঞ্জে এনজিওর দেনার দায়ে ১ কৃষকের আত্মহত্যা।


ফয়সাল আজম অপু: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এনজিওর দেনার টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বিষপানে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আত্মহত্যাকারী কৃষক হচ্ছে- উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর মুন্সীপাড়া গ্রামের শুকুরুদ্দিনের ছেলে জোবদুল হোসেন (৫০)। খবর পেয়ে রোববার (২৬ জুলাই) দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠান। 
এলাকাবাসী বলছে, রোববার (২৬ জুলাই) সকালে বিশ্বনাথপুর গ্রামের ইসরাইলের ছেলে ফরিদুল ইসলাম মাছ ধরার জন্য মাঠে যাবার সময় বেগুনের জমিতে জোবদুলের লাশ দেখতে পেয়ে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামকে অবহিত করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এ সময় জোবদুলের আত্মীয়স্বজনরা লাশ বাড়ি নিয়ে আসে। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। জোবদুলের স্ত্রী সাজেনুর বেগম জানান, গতরাতে এক সাথে বাড়িতে ঘুমিয়েছি। 
রাত সাড়ে ১১টার জেগে দেখি আমার স্বামী নেই। তখন থেকে আমি ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাইনি। সকালে জানতে পেরেছি, আমার স্বামীর লাশ মাঠে বেগুনের জমিতে পড়ে আছে। সাজেনুর আরও জানান, স্বামী কয়েকটি এনজিও ও ব্যাংক থেকে কয়েক লাখ টাকা লোন তুলে জমি বর্গা নিয়ে কৃষি কাজ করতো। 
তাছাড়া একটি এনজিও থেকে ৬০ হাজার টাকা লোন তুলে আমার অজান্তে তার বন্ধু একই গ্রামের ফড়িংয়ের ছেলে খোকনকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু খোকন কোন কিস্তি না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহনা করেছে। কয়েকদিন আগে আমি জানতে পেরেছি। কিস্তির টাকা বাকি থাকলেও এনজিওগুলো কোন চাপ প্রয়োগ করেনি। ঈদের পরে দিতে চেয়েছি। তবে স্বামীর পেটের পীড়া ছিল। আমার ধারনা পেটের পীড়ার জন্য সে আত্মহত্যা করেছে। 
কারো ওপর আমার কোন অভিযোগ নেই। বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ও ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, শুনেছি এনজিও ও ব্যাংকের লোন পরিশোধ করতে না পেরে জোবদুল বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। 
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার এসআই নুরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।