![](http://rajshahipratidin.com/wp-content/uploads/2022/10/received_860746368616771-300x225.jpeg)
সোমবার সকাল ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এই অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসময় তার সাথে সংহতি জানিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও অনশনে যোগ দিতে দেখা গেছে।
ড. ফরিদ খান বলেন, “চিকিৎসাসেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আজকাল ব্যাপক অসন্তোষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসাপ্রার্থীদের ভোগান্তি আজ চরমে। চিকিৎসা নিতে এসে তারা চরম অসহায় এবং অনিরাপদ বোধ করছেন। চিকিৎসাসেবা পাবার মতো একটি মৌলিক অধিকার অর্জনের সুযোগ একদিকে যেমন অপ্রতুল অন্যদিকে তেমনি অনিরাপদ”।
নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, “সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবায় চিকিৎসকদের অবহেলা এবং অনীহা প্রকট আকার ধারণ করেছে! দেশের চিকিৎসাসেবার প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা, অবিশ্বাস এবং ক্ষোভ দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। এই চিকিৎসা সংকটের পাশাপাশি বর্তমানে যুক্ত হয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগীর স্বজনদের নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্নটি আজ সামনে এসেছে”।
রোগীর স্বজনেরা ডাক্তারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছে দাবি করে ড. খান বলেন, “রামেকে মুক্তিযোদ্ধাকে পর্যন্ত লাঞ্ছিক করা হয়েছে। সন্তানের সামনে বাবাকে হেনস্তা করা হয়েছে।রোগীর স্বজনেরা প্রায়ই ডাক্তারদের হাতে নিগ্রহের শিকার হচ্ছে যা অনাকাঙ্খিত এবং অগ্রহণযোগ্য। তার একটি প্রমাণ রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর চিকিৎসকদের বর্বরোচিত হামলা। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এইসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। এই ঘটনা অন্য সবকিছুর মতো ‘ম্যানেজড’ হলে বা ধামাচাপা পড়ে গেলে, মানবতা এবং নাগরিক অধিকার চরমভাবে নিগৃহীত হবে বলে মনে করি”।