সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থা ভেঙে রাজপথে জনতা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডে সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থা ভেঙে রাজপথে নেমেছে হাজার হাজার গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারী। রাজধানী ব্যাংককের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হয়ে গ্রেফতার হওয়া বিক্ষোভকারীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা। অনেকেই ছাত্র আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠা তিন আঙুল স্যালুট প্রদর্শন করছেন।

দেশটির রাজা মহা ভজিরালংকর্ন সম্প্রতি অধিকাংশ সময় দেশের বাইরেই থাকছেন। বেশ কয়েক সপ্তাহ জার্মানিতে কাটানোর পর সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি। গেল বুধবার তার আগমনে ব্যাংককে বিশাল বিক্ষোভের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই কঠোর জরুরি অবস্থা জারি করে থাই সরকার।

সকালে জরুরি অবস্থা জারির পর বিকেলেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংকের একটি ব্যস্ত এলাকায় সমবেত হয়ে আটকদের মুক্তির দাবি জানায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কারফিউ জারি করা হলেও এর তোয়াক্কা না করে ব্যাংককের র‌্যাচাপ্রাসং মোড়ে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার বিকেল ৫টায় আবারও রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়ে রাতে রাজপথ ছাড়েন তারা।

সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওঝার পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র নেতৃত্বাধীন আন্দোলন শুরু হয় দেশটিতে। গেল কয়েক মাস ধরে রাজার ক্ষমতা খর্বের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে জরুরি অবস্থা চলাকালে গণজমায়েত নিষিদ্ধ করে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৫ জনের অধিক সড়ককে একসঙ্গে জড়ো হতে পারবে না। গণমাধ্যমগুলোকে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন কোনও খবর প্রকাশ করা যাবে না।

তবে এতকিছুর পরও থাই রাজা গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলন ও বিক্ষোভ কানে তুলছেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওঝাও উত্তেজনা চাইছেন না। আর সেকারণেই বিক্ষোভকারীদের দমনে এই জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।