সাপাহারে কাঁচা সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে নিম্ন আয়ের ক্রেতারা!


মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে বেশ কয়েকদিন ধরে কাঁচা সবজির বাজার অস্থিতিশীল। লাফিয়ে বাড়ছে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি কিনতে বিপাকে নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। বর্তমান বাজার মূল্যে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে। কিন্তু আপাতত কাঁচা সবজির দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা। যাতে করে বিপাকেপড়ছে দিনমজুর সহ মধ্যআয়ের ক্রেতারা।

শনিবার (১৮জুন) সদরের কাঁচা বাজার ঘুরে জানা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি সবজিই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এক সপ্তাহের
ব্যবধানে প্রায় সব ধরণের কাঁচা সবজির প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও কোন কোন সবজির দাম
প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩৫ টাকা পর্যন্ত । সবজির দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতামহল। তবে বিক্রেতারা রয়েছেন নির্বিকার। তারা বলছেন, দেশে বন্যা হবার ফলে সবজির আমদানি কম। যার ফলে সবজির দাম বাড়ছে।মূল কার হিসেবে বন্যাকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। অপরদিকে খুচরা বিক্রিতে সবজির দাম বাড়লেও সঠিক দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকেরা এমনটাইঅভিযোগ করছেন অনেক কৃষক।

তবে বিক্রেতাদের এই বক্তব্য মানতে চাননা অনেক ক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, বন্যার প্রভাব এই অঞ্চলে পড়েনি। এই বন্যা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে সুযোগ নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী। যার প্রভাব পড়েছে কাঁচা সবজি বাজারে। শুধু তাই নয়, মাছ ও মুরগীর দাম বেড়েছে প্রতিেিকজিতে ২০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত। জাতভেদে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫-২০টাকা। বাজার ঘুরে সবজির দাম অনেকটা চমকে দেবার মতই লক্ষ্য করা যায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চমকে দেবার মতো বাজারদর বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পটলের মূল্য ছিলো ১০ টাকা বর্তমানে ২০টাকা , গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুন ২০ টাকা, বর্তমানে ৩৫টাকা। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি আলুর দাম ছিলো ২৫টাকা বর্তমান মূল্য ৩৫ টাকা, গত সপ্তাহে শুকনা মরিচ ছিলো ২৫০টাকা প্রতিকেজি, বর্তমানে ২৭০টাকা।

এছাড়াও টমেটো , বরবটি, ঝিঙ্গা, করলা, কুমড়া, ঢেঁড়স,আদা, রসুন সহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৮-২০ টাকা পর্যন্ত। কাঁচা বাজারে যেন আগুন লাগার মতো অবস্থা। সহজলভ্য এই সবজিগুলো আর সহজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। যার
কারনে সবজিগুলো কিনতে গিয়েও মূল্য বৃদ্ধির কারনে ঘুরে যেতে হচ্ছে অনেক ক্রেতাদের।বাড়তি দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।

বাজার করতে আসা ফিরোজ কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “আমি প্রতি সপ্তাহে একবার কাঁচা বাজার কিনে থাকি। গত
সপ্তাহের বাজারদর অনুযায়ী টাকা এনেছিলাম। কিন্তু দাম বাড়তি হওয়ায় মনমতো বাজার করতে পারিনি।” সবজি বিক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, “কাঁচা মালের আমদানী কমের কারনে পাইকারী দরে কিনতেই হচ্ছে বেশি দামে। এজন্য খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। আগের মতো বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি আসলে সবজির দাম কমবে। তবে এমন পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে সবজির দাম
কমতে সময় লাগবে। ”

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, “আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। যদি কোন অসাধু ব্যক্তি কারন ছাড়া দাম বাড়ায় আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”