মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষ করে অধিক লাভের আশা করছেন আমচাষীরা। অধিক মুনাফা ও রোগ বালাইয়ের হাত থেকে আমকে রক্ষা করতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করছেন চাষীরা।
আমচাষীরা বলছেন, কীটনাশক, পোকামাকড় ও বিরূপ আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমকে রক্ষা করতে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এছাড়াও ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি আম সংরক্ষণ করার একটি পন্থা। যা আমের গুণগত মান ও কালার তাজা রাখতে খুবই কার্যকর।
এই উপজেলায় আম চাষে বেশ কয়েক বছর যাবৎ ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি চলছে। প্রাথমিক অবস্থায় হাতে গোনা কয়েকজন চাষী এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে এলাকার বেশিরভাগ চাষী এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। যাতে করে লাভবান হচ্ছেন এলাকার আমচাষীরা। ফ্রুট ব্যাগিং আমের চাহিদা ভোক্তাদের কাছে অনেক বেশি। কারণ ফ্রুট ব্যাগিংয়ের কারনে আম থাকে কীটনাশকমুক্ত। পোকামাকড়, বিরূপ আবহাওয়া ও বাইরের ক্ষতিকর কোনও প্রভাব এই ব্যাগের মধ্যে ঢুকতে পারে না।
উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আম চাষি মাহফিজুর রহমান বলেন, চলতি বছরে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আমের চাহিদা এখানো তেমন দেখা যায়নি । তবে ফ্রুট ব্যাগিং করার ফলে আম পোকামাকড় থেকে রক্ষা পায়। এতে আম থাকে বিষমুক্ত। শুধু মাত্র গাছে সামান্য কীটনাশক স্প্রে করলেই হয়। ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি একটু ব্যয়বহুল হলেও আম বিক্রির লাভ থেকে তা পুষিয়ে নেওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, চলতি বছরে এই উপজেলায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ ফ্রুট ব্যাগ বিক্রি হয়েছে। ফ্রুট ব্যাগ মূলত মাছি পোকা সহ অন্যান্য পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা করে। এছাড়া আমের পচন রোধকল্পে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি খুব ভালো কাজ করে। যার ফলে কৃষকেরা বেশি দামে আম বিক্রয় করতে পারে। আশ্বিনা, আম্রপালি ও বারি-৪ জাতের আমে ফ্রুট ব্যাগিং করা যায়।