সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন ও গ্রামবাসীর দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে গ্রামের মধ্যে বসতবাড়ী নির্মান যোগ্য বিবাদমান ওই জায়গায় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত দাবী করে ওই গ্রামের আব্দুস সোবহান এর ছেলে কাওসার আলী ও রুবেল প্রায় ৩ বছর পূর্বে সেখানে টিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ৩টি ঘর নির্মান করে বসবস করে আসছিল।
ঘটনার দিন তারা আবার নতুন করে সেখানে ঘর বাড়ি নির্মানের প্রস্তুতি নিলে রাত ৩টার দিকে প্রতিপক্ষের নার্গিস আক্তার তার স্বামী রাকিব হোসেন ও তার বোন কহিনুর বেগম ও তার স্বামী এমদাদুল হক পাশ্ববর্তী কামাশপুর গ্রামের কিছু লোক জন নিয়ে তাদের কে বাঁধা দেয় ও প্রতিপক্ষের বসতবাড়ী ভেঙ্গে দিয়ে সম্পুর্ন ছাউনির টিন ও বেড়ার আসবাবপত্র তছনছ কের পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের কহিনুর বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, ওই জায়গাটি তাদের মায়ের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত অংশের সম্পত্তি তাদের অসহায়েত্বর সুযোগ নিয়ে কাওছার গং গায়ের জোরে দখল নিয়ে সেখানে বসত বাড়ী নির্মান করেছে।
বর্তমানে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। রাতের অন্ধকারে রুবেল ও তার লোকজন বাঁশ ও কাঠের খুঁটি দিয়ে তাদের ভাঙ্গা চুড়া বাড়িঘর স্থায়ী ভাবে নির্মানের জন্য কাজ শুরু করলে বাধা দেয়া হয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৫ জন গুরুত্বর আহত হয়। আহতরা হলেন কহিনুর পক্ষের কামাশপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে এমদাদুল (৩৬) ও তার আপন ভাই শফিকুল ইসলাম (২৮) ও মামুন হোসেন (২২)। কাওসার পক্ষের থাকা রুবেল (২৬) ও তার মা মরিয়ম বেগম (৬০)।
ভোরেই প্রত্যেকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কহিনুর পক্ষের মামুনের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা ওসি (তদন্ত) মাহমুদ হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ও এখনও পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই কোন অভিযোগ দাখিল করেনি বলে জানিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন।