সাপাহারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের!


মনিরুল ইসলাম, সাপাহার(নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে উদ্দেশ্য প্রবনিত হয়ে হয়রানী করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও  ইউনিয়ন উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মিনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।  

স্থানীয় এলাকাবাসী ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লালচাঁন্দা গ্রামের ইয়াসিন আলীর কন্যা শেফালীর সাথে একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে সোহাগের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে সোহাগ শেফালীকে নিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে তারা ফিরে আসলে দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পরে ছেলের বাড়ীতে দুইজন ঘর সংসার করতে থাকে। ইতমধ্যে পার হয়ে যায় দীর্ঘ ৯ মাস। পরবর্তী সময়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে শেফালীকে তার মা-বাবা সোহাগের বাড়ীতে না পাঠিয়ে নিজ বাড়ীতে আটকে রাখে।

 

এবং এলাকায় তার মেয়ে শেফালীকে পাওয়া যাচ্ছেনা মর্মে একটি গুজব ছড়িয়ে দেয়। পরে স্থানীয় গন্য মান্য ব্যক্তি বর্গের সমন্বয়ে গত ১১ অক্টোবরে লালচান্দা গ্রামের বাসিন্দা শরিফুলের বাসায় একটি শালিশ বসে। শালিশে শেফালীর বাবা ইয়াসিন মেয়ের নামে ৫ কাঠা জমি লিখে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করলে ছেলেপক্ষ তা দিতে স্বীকার করে এবং মেয়ে পক্ষকে রেজিষ্ট্রির খরচ দিতে হবে মর্মে জানালে মেয়ে পক্ষ তা মানতে রাজী হয়না।

 

উল্টো ছেলে পক্ষকে সব খরচ বহন করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এতে করে সেখানে কোনরূপ মিমংসা না হওয়ায় অসাধু মহলের প্ররোচনায় এবং পূর্ব প্রতিশোধের লক্ষ্যে গত ১৮ অক্টোবরে নিজ মেয়ের বিয়ে অস্বীকার পূর্বক সোহাগকে ১ নং আসামী করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। যার মধ্যে ৪নং আসামী উপজেলার লালচাঁন্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদের ছেলে শরিফুল ইসলাম সহ ৭ নং আসামী তার সহোদর ভাই ও ইউনিয়ন ইপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মিনারুল ইসলাম ।

 

এছাড়াও উদ্যেশ্য প্রণদিত ভাবে ২ নং আসামী হিসেবে স্বপ্নাকে অভিযুক্ত করে। স্বপ্নাও একজন সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা। মূলত গ্রাম্য রাজনিতী সফল করার লক্ষ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এবাধিক ব্যক্তি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মিনারুল ইসলাম বলেন, “আমি জানি যে তাদের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু এর পরে বা আগে আমি কিছু জানিনা। আমাকে মিথ্যে হযরানী করার জন্য এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে”।

এ বিষয়ে মেয়ের বাবার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রথমে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে বলেন “বিয়ে করেছে কি না করেছে ছেলে-মেয়েই ভালো জানে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

বিষয়টি নিয়ে ৬নং শিরন্টী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাকীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “বিয়ের বিষয়টি আমি জানি। তারা ৭/৯ মাস সংসার করেছে এটাও জানি। তাদের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। পরবর্তীতে কোন এক বিষয় নিয়ে দু পক্ষের মাঝে গন্ডগোল হলে আমার কাছে মিমংসা করার কথা। কিন্তু পরে কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। বরং তারা আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করেছে”।

তবে এই মামলাটিতে প্রতিপক্ষরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার একাধিক ব্যক্তি।