মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে প্রায় এক মাস ধরেই সবজির বাজার অস্থিতিশীল। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠলেও আপাতত দাম কমার কোন সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। যাতে করে অনেকাটাই বিপাকে পড়তে হচ্ছে মধ্যআয়ের ক্রেতাদের।
বৃহষ্পতিবার সাপাহারের কাঁচা বাজার ঘুরে জানা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি সবজিই বিক্রয় হচ্ছে চড়া দামে। মাত্র ৪/৫ একদিনের ব্যবধানেই কোন কোন সবজির দাম কেজিতে ৮ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এভাবে সবজির দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা রয়েছেন নির্বিকার। তারা বলছেন, সবজি বাজারে কম আসার ফলে দাম চড়া হচ্ছে। এজন্য অনেকটা বন্যাকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। বেশি দামে পাইকারী সবজি কেনার ফলে খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তবে বিক্রেতাদের এই বক্তব্য মানতে চাননা অনেক ক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, বন্যা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী। যার প্রভাব পড়েছে সবজি বাজারে।
বাজার ঘুরে সবজির দাম অনেকটা চমকে দেবার মতই লক্ষ্য করা যায়। মাছ ও মাংস আগের মতোই স্থিতিশীল থাকলেও সবজির দাম বাড়তি। প্রতিকেজি পটলের মূল্য ৬০ টাকা , বেগুন ৬০ টাকা, আলু ৩৫, দেশী ৭০, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, মূলা ৫০, লাউ প্রতিপিস ৩০/৫০টাকা, লেবু প্রতি হালি ১৫, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ২৫টাকা, পেঁয়াজ ৯০, শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ২৫০টাকা, কচু প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, পটল প্রতিকেজি ৬০ টাকা। এছাড়াও টমেটো , বরবটি ঝিঙ্গার দামেও যেন আগুন লাগার মতো।সহজলভ্য এই সবজিগুলো আর সহজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। যার কারনে সবজিগুলো কিনতে গিয়েও মূল্য বৃদ্ধির কারনে ঘুরে যেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আদা ও রসুনের দাম। একসপ্তাহ আগেও রসুনের দাম ছিলো কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এখনও একই দামেই পাওয়া যাচ্ছে রসুন। তেমনি আগের দামেই ক্রেতারা কিনতে পারছেন আদা। আদা গত সপ্তাহের মতোই ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় কিনতে পাওয়া যাচ্ছে।
বাড়তি দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। বাজার করতে আসা ফিরোজ কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সবসময়ই বাজার করি। গত এক মাস ধরেই সব সবজির দাম অনেক বেশি। মাছ ও মাংসের দাম ঠিক থাকলেও সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, আগের মতো বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি আসলে সবজির দাম কমবে। তবে এমন পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে সবজির দাম কমতে সময় লাগতে পারে।