সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের রৌমারীতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন পালিত হয়


মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুিড়গ্রামের রৌমারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত করা হয়েছে।

দেশ স্বাধীনের লড়াইও সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী এই মহিয়সী নারী ১৯৩০ সালের এই দিনের (৮ আগস্ট) ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘদিন আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই হননি তিনি, বিশ্ব বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়।

এর পেছনে গুারুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাঁরই সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বেগম মুজিব তার পিতা-মাতা দুই জনকেই হারান এবং ১৯৩৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু সহধর্মিণীই ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা।

এই ত্যাগী নারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির সেবায় মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি। আলোচনা সভায় বক্তারা বক্তব্যে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মজিবের ৯১ তম জন্মদিনে তার জীবন বিত্তান্ত তুলে ধরেন বক্তারা।

এসময় সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান, প্রধান অথিত হিসাবে উপস্তিতি ছিলে উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুৃল্লাহ,বিশেষ অথিতিরা হলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার সৃতী,উপজেলা প্রকল্পবাস্তাবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, থানা ইনর্চাজ মোনতাছের বিল্লাহ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালুসহ আরো অনেকেই।

আলোচনা শেষে মহিলা বিষয় অধিদপ্তরের পক্ষ হতে দরিদ্র পরিবারের মাঝে কয়েকটি সেলাই মিশিন বিতরন করা হয়।

আয়োজনে উপজেলা প্রশাসন রৌমারী কুড়িগ্রাম সকাল দশটায় উপজেলা হলরুমে এই জন্মবার্ষিকীর আলোচনা শুরু হয় বিকাল তিনটার দিকে শেষ হয়।