স্বাধীনতার ‘ঘোষণা পাঠক’ ঘোষক হতে পারে না: কাদের


 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠক, স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারে না। জিয়াউর রহমান ইতিহাসের ফুটনোট মাত্র। ফুটনোট কখনও ইতিহাসের নায়ক হতে পারে না।’

বুধবার (১৯ আগস্ট) বরিশাল সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতিহাস চলে নিজস্ব গতিতে। অপরাধীদের একসময় ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হয়। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সত্য এই যে, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ইতিহাস বিকৃতি করে নতুন প্রজন্মকে ভুল ইতিহাস শেখাতে চেয়েছেন। পাঠ্যপুস্তুক থেকে পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসনে দিয়েছেন। পাবলিক মিডিয়ায় বঙ্গবন্ধু হারিয়ে গিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, জেনারেল জিয়াকে নাকি ছোট করা হচ্ছে। আমি তার কাছে জানতে চাই, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মোশতাক সরকারের প্রধান সেনাপতি কে হয়েছিল? বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বঙ্গভবনের একটি কক্ষে জিয়ার সাথে খুনিদের কথা হতো, দেখা হতো।’

মিজা ফখরুলের প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে কে চাকরি দিয়েছিল? হত্যার বিচার বন্ধে মোশতাক সরকারের ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অডিয়েন্স, পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে কে সংবিধানের ঢুকিয়েছিল? সত্য কথা বললে ছোট করা হয়? খুনাখুনির মদদদাতা, প্রশ্রয়দাতা এবং বেনিফিশিয়ারি সমান অপরাধী।’

এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুধু জিয়াই নয়; হাওয়া ভবনের যুবরাজ, মুফতি হান্নানের সাক্ষ্যে উঠে এসেছে; একুশে আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তারেক জিয়া। এ দেশের রাজনীতিতে খুন-হত্যা, ষড়যন্ত্রের জনক জিয়া পরিবার। খুনিদের খুনিইতো বলবে জনগণ। সত্য কথা শুনে আপনাদের এতো গাত্রদাহ কেন?’

ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, ‘১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। ২১ আগস্টের রক্তস্রোত এবং হত্যাকাণ্ডকে অন্যদিকে ঘুরাতে জজ মিয়ার নাটক আপনারাই (বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত) সাজিয়েছেন। আলামত নষ্ট করে ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন।’