প্রথমবার বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আবাদ করেই বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন পাবনার কৃষক আমিরুল


পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়ার কৃষক আমিরুল ইসলাম  এই প্রথমবার বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ আবাদ করেই কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক বাম্পার ফলনে ফেলেছেন। তুলনামূলক কম সময় এবং কম খরচে রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণ রোধ করার গুণসম্পন্ন এ ধান আবাদ করে বেশি ফলন পাওয়ায় আগামীতে এ ধানের আবাদ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
তিন বিঘা জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান আবাদকারী আটঘরিয়া উপজেলার উত্তরচক গ্রামের আমিরুল ইসলাম জানান, অন্যান্য ধানের তুলনায় এ ধানের ফলন ভালো। পাশাপাশি এ ধানের রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণ রোধ করার ক্ষমতা থাকায় উৎপাদন খরচও কম হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতি এক জমিতে এ ধানের ফলন হয়েছে ২২-২৪ মন, যা অন্যান্য ধানের তুলনায় বেশি। কম সময়ে ভালো ফলন ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এ ধান আবাদে উৎসাহিত হচ্ছেন অন্য কৃষকরাও। ইতোমধ্যেই তার কাছে অনেকে বীজ চাইতে আসছেন অনেক কৃষক।
উপসহকারী কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, শীত সহিষ্ণু, রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণ রোধ করার ক্ষমতা থাকায় বেশি ফলনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ধানের উৎপাদন খরচও কম।
আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ সজীব আল মারুফ জানান, এ ধানে উৎকৃষ্ট জিংকের পরিমাণ বেশি থাকায় বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পুষ্টিহীনতা দূর হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
দেশের অন্যান্য ধান আবাদ করতে সময় লাগে ১৫৫ থেকে ১৬০ দিন। সেখানে বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান আবাদ করতে সময় লাগছে মাত্র ১৪৫ থেকে ১৪৮ দিন। তা ছাড়া অন্যান্য ধানের চেয়ে এর ফলনও ভালো।
তিনি আরও বলেন,  উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎকৃষ্ট জিংকসমৃদ্ধ এই বঙ্গবন্ধু ধান দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।