
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া ও জেলার শেরপুরের মোটরশ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে সোমবার(০৬ অক্টোবর) সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ‘করতোয়া গেটলক’ পরিবহনের শ্রমিকেরা। ফলে শেরপুর বগুড়া মহাসড়কে নামেনি করতোয়া গেটলক পরিবহনের কোনো বাস। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
জেলার শেরপুর পৌর শহরে স্থানীয় বাস স্ট্যান্ড নামে এলাকা থেকে প্রতিদিন ‘করতোয়া গেটলক’ নামে বগুড়া শহরে যাতায়াত করে প্রায় ৪৫টি বাস। এসব বাসে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী শেরপুর, ধুনট, কাজীপুর ও তাড়াশ এলাকা থেকে বগুড়ায় যাতায়াত করেন।
গত শুক্রবার( ৩ অক্টোবর) সকালে বগুড়ার চারমাথা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস শেরপুরের কোচ টার্মিনালে পৌঁছে ঢাকাগামী যাত্রী তোলা নিয়ে স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও ওই দিন সন্ধ্যায় বগুড়ার শ্রমিকেরা শেরপুরের করতোয়া গেটলক পরিবহনের তিন শ্রমিককে মারধর করেন। পরের দিন শনিবার বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য শহরের ট্রেনস্টেশন রোড থেকে করতোয়া গেটলকের ১৫টি বাস বের করে দেন। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শেরপুরের শ্রমিকদের মধ্যে।
কর্মবিরতির কারণে সোমবার সকাল থেকে করতোয়া গেটলক পরিবহনের কোনো বাস মহাসড়কে নামেনি। এতে শেরপুর ও আশপাশের এলাকার মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। চিকিৎসা, অফিস ও জরুরি কাজে বগুড়াগামী যাত্রীরা বিকল্প পরিবহন না পেয়ে বিপাকে পড়েন।
যাত্রীরা জানান, নিয়মিত ৩০ টাকায় যাতায়াতের বাস না পেয়ে তাঁদের এখন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে, তাও পর্যাপ্ত গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না।
বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের শেরপুর কার্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, প্রতিদিন এই রুটে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার যাত্রী চলাচল করেন। ঘটনার মীমাংসা না হওয়ায় করতোয়া গেটলক পরিবহনের শ্রমিকেরা আজ থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাস মিনিবাস মালিক সমিতির শেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বলেন, সৃষ্ট দ্বন্দ্বের ঘটনা নিয়ে মালিক শ্রমিক সহ প্রশাসনের যৌথ মিটিং চলছে। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাটির মীমাংসা হবে এবং যাত্রী সেবায় করতোয়া গেটলক সার্ভিস পুনরায় চালু হবে।







