অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘ইয়্যাস’র অভিনন্দন ও শুভকামনা


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন ‘তারুণ্যের জয় হবে নিশ্চয়ই’ এ প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা উন্নয়ন গবেষণাধর্মী ও পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস। শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে সংগঠনটি গণমাধ্যমে প্রেরিত ইমেইল বার্তায় অভিনন্দন জানায়।
উন্নয়ন গবেষণাধর্মী ও পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস’র সভাপতি মো. শামীউল আলীম শাওন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক যৌথ স্বাক্ষরিত এ ইমেইলে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্য উপদেষ্টারা যারা দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সংগঠন ইয়্যাসের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো। দেশের সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের সমন্বিত আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সহিংসতামুক্ত, গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক, দূর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সকল প্রাণের জন্য নিরাপদ বাসযোগ্য অসাম্প্রদায়িক, অভিঘাতসহনশীল, শ্রদ্ধাশীল ও মানবিক সমাজ বির্নিমান করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই এখন সহিংসতা নয় বরং সম্প্রীতি ছড়াতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমন্বয় করে দেশের কল্যানে কাজ করতে হবে।
আরো বলা হয়েছে যে, নব গঠিত সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগের ৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন’ তা বাস্তবায়ন করতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালানায় সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি রোধ করতে হবে।
নবগঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ইয়্যাস’র পক্ষ থেকে আহবান জানিয়ে ইমেইল বার্তায় বলা হয়েছে যে, রাজশাহীসহ সমগ্র দেশব্যাপী একটি আদর্শ শহরের মানদণ্ড অনুযায়ী, শহরের মোট ভূমির ১০ থেকে ১২ শতাংশ এলাকা জলাশয় ও ১৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন, তা নিশ্চত করতে হবে এবং সেই সাথে সকল প্রাকৃতিক সম্পদ (পুকুর, জলাশয়, নদী-নালা, খাল-বিল, ঝিল, লেক, পাহাড়, বন্যা প্রবাহ এলাকা, উপকূলীয় জলাভূমি, প্লাবনভূমি, বন ও জীববৈচিত্র্য) সংরক্ষণ, পূর্ণরুদ্ধার ও পরিবেশবান্ধব ব্যবহার নিশ্চত করতে হবে। এছাড়াও সারাদেশে খেলার মাঠ, পার্ক, বাগান, নার্সারি, উন্মুক্তস্থান ও ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাসমূহ সংরক্ষনে গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের জলাভূমি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, জলাভূমি ভরাট বন্ধ, ইতোমধ্যে ভরাটকৃত জলাভূমি পুনরুদ্ধারসহ জলাভূমির জীববৈচিত্র্য এবং প্রাণিসম্পদসহ পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন নিশ্চত করতে হবে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রকে সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে পরিচালনা করবে। এই চলমান পরিস্থিতিতে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বির্তকিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপচেষ্টা চলমান, তা বন্ধ করতে হবে। আমরা দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রের কল্যানে সরকারের সহয়তায় কাজ করতে আমারা তরুণ-যুবরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। আশা করি, আপনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো উন্নত ও দৃঢ় হবে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।