আগামীকাল থেকে রাবিতে চলবে ক্লাস-পরীক্ষা


রাবি প্রতিনিধি :রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে আগামীকাল থেকে স্বাভাবিক ভাবে চলবে ক্লাস-পরীক্ষা।  সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুর দেড় টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রেস কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর কতিপয় স্থানীয় লোকজন যেভাবে চড়াও হয়েছিলো তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বৃহৎ আকার ধারণ করলে আমরা ১২-১৩ মার্চ দুদিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছিলাম। আমাদের শিক্ষার্থীদের শান্তিপ্রিয়। তারা আমাদের কাছে কিছু দাবি জানিয়েছে। আমরা সে দাবিগুলো মেনে নিয়েছি তারাও ঘরে ফিরে গেছে। এখন ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামীকাল থেকে আবারও যথারীতি নিয়মে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা।
এ সময় তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আমার প্রশাসন কাজ করার চেষ্টা করছি। তারমধ্যে বড় দাবি হলো শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা। আমাদের দশ তলা করে দুটি ভবনের কাজ চলমান। অতি শীগ্রই এ ভবনগুলোর কাজ শেষ হবে। এ ছাড়াও চারটি আবাসিক হল নির্মাণের জন্য আমরা উপর মহলে আবেদন জানিয়েছি।
আমরা ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। এ কমিটি সব বিষয়ে খুঁটিয়ে দেখবেন এবং আমাদেরকে প্রতিবেদনে জমা দিবেন। আমরা ইতোমধ্যে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনের নামে মামলাও করেছি।
এসময় বহিরাগত প্রবেশ নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ উপাচার্য। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগতদের বেশি দৌরাত্ম বেড়ে গেছে। ক্যাম্পাসে মাইকিং করে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। সন্ধ্যার পর থেকে কোনো বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের চলাচলের ক্ষেত্রেও তাদের আইডি কার্ড দেখাতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে আইডি কার্ড সাথে নিয়ে চলাচল করার পরামর্শ দেন তিনি।বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত গেইট থাকার এমন সমস্যাগুলো সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা গেইটের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছি।
এর আগে গত শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাসের ভাড়া নিয়ে এক রাবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জের ধরে শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ব্যবসায়ীদের ইট-পাটকেল ও পুলিশের  টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ায় প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এখনো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন।