রাবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে প্রশাসনের মাইকিং


রাবি প্রতিনিধি : আজ সন্ধ্যা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসের অভ্যান্তরে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে মাইকিং করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে দেখাতে হবে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনকালে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগতদের বেশি দৌরাত্ম বেড়ে গেছে।
আজ সন্ধায় ক্যাম্পাসে মাইকিং করে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। সন্ধ্যার পর থেকে কোনো বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের চলাচলের ক্ষেত্রেও তাদের আইডি কার্ড দেখাতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে আইডি কার্ড সাথে নিয়ে চলাচল করার পরামর্শ দেন তিনি।বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত গেইট থাকার এমন সমস্যাগুলো সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা গেইটের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছি।
গতকালে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও রেললাইনে আগুন জালিয়ে রাস্তা অবরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমে আমার শিক্ষার্থীরা অবরোধ করলেও পরে আর তাদের নিয়ন্ত্রণ ছিলো না। পরে বহিরাগতরা এসে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ফলে আন্দোলন বড় আকার ধারণ করে। এসব বিষয় খুটিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছিলাম এখন কমিটি আরও দুজন সদস্য বাড়িয়েছি। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি সব বিষয়ে খুঁটিয়ে দেখবেন এবং আমাদেরকে প্রতিবেদনে জমা দিবেন। আমরা ইতোমধ্যে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনের নামে মামলা করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার শিক্ষার্থীরা যারা ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করছেন তাদের নিরাপত্তার জন্য মেস মালিক সভাপতি ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সাথে বসে আলোচনা করবো। তারা যেন শিক্ষার্থীদের সাথে ভালো আচরণ করে।
সাংবাদিকদের হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের উপর যে হামলা করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা রয়েছে। তারা যেকোনো জায়গায় ভিডিও ধারণ করতে পারে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
এর আগে গত শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাসের ভাড়া নিয়ে এক রাবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জের ধরে শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ব্যবসায়ীদের ইট-পাটকেল ও পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ায় প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এখনো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়।