কুড়িগ্রামের রৌমারীর কৃষকরা করোনার সাগড়ে ভাস্যমান ক্ষতির আসংকায় ধান,পাট চাষিরা


মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: এবার কুড়িগ্রামের রৌমারীর কৃষকরা এমন সময়ই করোনার মায়াজালে বন্দি হয়ে বিপাকে পরেছে তারা। ঠিক এই সময়টিতে কৃষকের ঘরে ঘরে ফসলের আলোয় আলোকিত হয়ে সোনার ফসল উঠবে ঘরে। একদিকে করোনা মহামারী অন্যদিকে ধান কাটা, পাশাপাশি পাট ক্ষেতের আগাছা পড়িস্কারের সঠিকসময়।

 

অনেকেই কামলা সংকটজনক কারনে পাট ক্ষেত আগাছায় নষ্ট হওয়ার আসংকায় ভোগছেন। আবার বোরোধান প্রায় পরিপূর্ন হয়ে আসছে দেখা দিয়েছে লেবার সংকট। যাদুরচর ইউনিয়নের কোমড়ভাঙ্গী গ্রামের কৃষক আইয়ব আলী সাবেক মেম্বর বলেন একবিঘা জমির পাট ক্ষেতে ২০টা কইরা কামলা লাগতেছে প্রথম নিরানীতেই।

 

তারপর ২০টি কামলার দাম ৫০০ টাকা করে হলে ১০ হাজার টাকা বিঘাপ্রতি শুধু নিরানী খরচ। এরপর আবার সার দিতে হবে তারপর কয়েকদিন পর আবারো আগাছা পরিস্কার করতে হবে। তারপর যদি আল্লাহ তায়ালা রহম করে তাহলে, কাইটা আবার জাগে দিয়ে পাট ধুইয়া বিক্রয় যর্পন্ত প্রতি মনে হাজার টাকা খরচা হবে বলে তিনি জানান।

 

রৌমারী সদর ইউনিয়নের ভারি কৃষক আঙ্গুর,হাছেন আলী, বন্দবেড় গ্রামের আমজাত,আঃ গনিসহ আরো অনেকেই জানায় এবার মহাবিপদে। পাট চাষিরা বলছেন প্রতিবিঘা জমিতে ২০ হাজার টাকা খরচা করে কোনরকম সমস্যা নাহলে বিঘাপ্রতি ২০ মন পাট পাওয়া যেতে পারে। যদি পাটের দাম ভালো থাকে তাহলে হয়তো এখরচা উঠে আসবে আর যদি পাটের বাজার কম থাকে তাহলে নির্ধারিত কৃষকরা ক্ষতির মুখে পরবে।

 

এবিষয় রৌমারী কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন এসময়টি কৃষকের কষ্টের ফসল ঘরে তোলার কঠিন সময়। এইসময়টিতে সারাবিশ্ব করোনা মহামারি নিয়ে দেশ ও সকল জাতী আতংকের ম্যধ্যে দিনযাপন করছেন। তারমধ্যেও কৃষকের ফোলানো ফসল ঘরে তুলতে কেউ কিন্ত পিচপা হবে না আসা করি কোন সমস্যা হবে না।