কুড়িগ্রামের রৌমারী ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ঘরবাড়ীসহ ডুবে গেছে ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান


মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী, বন্দবেড় ও যাদুরচরসহ তিনটি ইউনিয়ন ব্রম্মপুত্র নদের কুল ঘেষা ডিসি রাস্তার পশ্চিম পাশটিতে পানি প্রবেশ করে প্রায়ই গ্রাম রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি পানি, গ্রামীণ রাস্তাঘাট ঝুকিতে ও রোপা আমন তিন হাজার হেক্টর ফসলি জমির ধান পানিতে তলিয়ে হতাশায় পরেছে কৃষকরা।

প্রতিটা এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, চরশৌলমারী,বন্দবেড় ও যাদুরচর ইউনিয়নের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ব্রম্মপুত্র নদী। কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢলে ব্রম্মপুত্র নদের পানি বেড়ে বিপদ সিমার উপর দিয়ে প্রাবাহীত হচ্ছে।

ভাদ্র মাসের ১৬ ও ১৭ তারিখ মঙ্গলবার ও বুধবার থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রম্মপুত্র নদের কুল উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ফলে ডিসি রাস্তার পশ্চিম পার্শেরচর শৌলমারীর চর ঘুঘমারী, চর খেদাইমারী সাহেবের আলগা, খেরুয়ারচর, মিয়ারচর। বন্দবেড় ইউনিয়নের বলদমারা, পালেরচর, ফলুয়ারচর, বাগুয়ারচর, চরবাঘমারা, কান্দাপাড়া।

যাদুরচর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি, ধনারচর নতুন গ্রামসহ অনেক গ্রামে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যায় পড়েছে গ্রামের লোকজন। অন্যদিকে রোপনকৃত রোপা আমন তলিয়ে যাওয়ায় হতাশয় পরেছে কৃষির উপরনির্ভশীল কৃষকরা।

এ বিষয়ে চর শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল, বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল কাদের সরকার ও যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, আমাদের এলাকায় বৃষ্টি না থাকলেও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢনে ব্রম্মপুত্র নদ কুল উপচে নিম্নাঞ্চলের কমপক্ষে তিনটি ইউনিয়নের ১ হাজার বাড়িতে পানি উঠেছে এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অপরদিকে সদ্য রোপনকৃত রোপা আমন গুলিও তলিয়ে গেছে। এ বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।

বন্যার পানির বৃদ্ধি ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত বিষয়ে উপজেলা বাস্তবায়ন প্রকল্প কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান ব্যন্যার্ত পরিবারের জন্য সরকার এ উপজেলায় ৩০ মেঃ টন চাল ও ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে পানি বন্দি কতটি পরিবার রয়েছে তাদের তালিকা করে আনতে। দ্রুত তাদেরকে চাল ও শুকনা খাবার দেয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইউম চৌধুরী বলেন, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে রোপা আমন, শাক সবজি ও বিজ তলা মোট ২ হাজার ৮ শত হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। তবে ২ একদিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে রোপা আমনের ক্ষতির সম্ভাবনা কম।