কে হবে চ্যাম্পিয়ন, কারা হাসবে শেষ হাসি?


একদিকে মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল, জহুরুল, আল-আমিনদের নিয়ে অভিজ্ঞতায় ঠাসা জেমকন খুলনা, অন্যদিকে তারুণ্যের ধারাবাহিকায় উদ্ভাসিত সৌম্য, লিটন, মোসাদ্দেক, মোস্তাফিজ ও মিঠুনদের গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। সেদিক থেকে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের আজকের ফাইনালটাকে অভিজ্ঞতা বনাম তারুণ্যেরও বলা যায়।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই হাইভোল্টেজ ফাইনালে কে হবে চ্যাম্পিয়ন? কার হাতে উঠবে শিরোপা? কারা হাসবে শেষ হাসি? অভিজ্ঞতা নাকি তারুণ্যের জয় হবে?

জমকালো এই ফাইনাল ম্যাচকে সামনে রেখে খেলা শুরুর ঠিক আগের সময়গুলোতে এমনই প্রশ্নগুলো উঁকি মারছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে।

পুরো আসরে সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করেও এক নম্বর দল হয়ে কোয়ালিফায়ার-১ জিতে সরাসরি ফাইনালে আসতে পারেনি চট্টগ্রাম। তবে টুনামেন্টজুড়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য এবং ব্যাটিং-বোলিং মিলিয়ে মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের শিষ্যদের আধিপত্য ছিল একচেটিয়া।

লিটন দাস ৯ ম্যাচে ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৭০ রান করে এখন আসরের সর্বোচ্চ স্কোরার। অপের অপেনার সৌম্য সরকার ২৮০ রান রিয়ে আছেন ৬ নম্বরে। ১০ ম্যাচে ৪ বার লিটন-সৌম্য অর্ধশত রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন। এটা আজ খুলনার চিন্তার বড় কারণ হতে পারে।

অন্যদিকে খুলনার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম ৯ ম্যাচে ২৫৪ রান নিয়ে ৮ নম্বরে আছেন। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটও হাসছে মাঝেমধ্যেই। তবে চট্টগ্রামের স্ট্রাইক বোলার মোস্তাফিজ ৯ ম্যাচে আসরের সর্বোচ্চ ২১ উইকেট নিয়ে উড়ছেন। সমান ম্যাচে একই দলের বোলার শরিফুলের উইকেট সংখ্যা ১৪টি। বিপরীতে খুলনার তরুণ পেসার শহিদুল ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে ৫ নম্বরে আছেন। বল হাতে ফমে আছেন অভিজ্ঞ মাশরাফি মুর্তোজাও।

তবে খুলনার জন্য আজ বড় অভাবের জায়গাটি হবে সাকিব আল হাসান। দলকে ফাইনালে তুলেই আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন সাকিব। ফলে আজ ফাইনালের মতো ম্যাচে অলরাউন্ডার সাকিবকে পাচ্ছে না খুলনা।