চুলে খুশকি ৪ কারণে


মাথায় চুল থাকলে খুশকি হবেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। বরং খুশকি কেন হয় এবং এ থেকে চুলকে মুক্ত রাখার উপায়গুলো খুঁজে বের করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

চুলে খুশকি নিয়ে ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশনবিষয়ক সাময়িকী ফেমিনার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যারা মনে করেন চুলে খুশকি আছে এবং সেটা শুষ্ক স্ল্যাল্পের কারণে নয়, তাদের জন্য খুশকির কিছু কারণও ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে-

চুল ধুতে আলস্য: অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে কম চুল ধৌত করেন। স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হলে সপ্তাহে অন্তত দুবার চুল ধুতে হবে। তিনবার হলে আরও ভালো। নিয়মিত মাথার ত্বক ও চুল না ধুলে তৈলাক্ত ভাব বাড়বে এবং ত্বকের কোষ দ্রুত মরবে। মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ততা খুশকির অন্যতম কারণ।

আর্দ্রতা: আপনি যদি অধিকাংশ সময় আর্দ্র স্থানে থাকেন তবে আপনার খুশকি হবেই। আর্দ্র ও উষ্ণ বাতাসে শরীরের মতো শাতার ত্বকও প্রচুর ঘামে। তাতে করে ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব আসে। এ কারণেও খুশকি হয়। এজন্যই বর্ষাকালে চুলে বাড়তি খুশকি হয়। কারণ তখন বাতাসে বাড়তি আর্দ্রতা থাকে।

ব্যায়াম: ব্যায়ামের সঙ্গেও খুশকির সম্পর্ক জড়িত। অনেকক্ষণ ধরে ব্যায়ামের ফলে আপনি প্রচুর ঘামবেন। মাথার ঘর্মাক্ত ত্বকের কারণে খুশকি উৎপন্ন হয়। তাই ব্যায়ামের পর অবশ্যই চুল ধুয়ে নেবেন।

চুলে প্রসাধনে অসাবধানতা: অনেকেই আজকাল চুলে স্টাইলিশ প্রসাধন ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে করে চুলে রুক্ষতা দেখা দিতে পারে। মাথার ত্বকে চুলকানি ও খুশকি হতে পারে। কারণ স্টাইলিশ প্রসাধনে থাকে উচ্চমাত্রার অ্যালকোহল। যা স্ক্যাল্পকে শুষ্ক করে দেয়। তখন খুশকি উৎপত্তি হয়। তাই অতিরিক্ত স্টাইলিশ প্রসাধন ব্যবহার না করে নিয়মিত চুল ধুয়ে নিন, মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন।