দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপক হারে বাড়ছে করোনা : আইএফআরসি


দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপক হারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানিয়েছে আইএফআরসি। ছবি : সংগৃহীত

বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। আমেরিকা-ইউরোপের পর করোনা সংক্রমণ বাড়ছে দক্ষিণ এশিয়ায়। গতকাল শুক্রবার ভারতে একদিনে ২ লাখ ৩৫ হাজার মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা জানানো হয়। এ সংখ্যা এখন পর্যন্ত বিশ্বে সর্বাধিক। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা আকাশ ছুঁয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যায় রেকর্ড হয়েছে বেশ কয়েকবার। বাংলাদেশেও শুক্রবার মৃতের সংখ্যা প্রথমবারের মতো ১০০ পেরিয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্রুতই কোভিড-১৯ মহামারির বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে উঠছে দক্ষিণ এশিয়া। করোনাভাইরাসের নতুন এ মারাত্মক ও ভয়াবহ সংক্রামক ঢেউটির কারণে রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে এ অঞ্চলের হাসপাতালগুলো। সামাজিক ব্যবস্থায়ও পড়েছে এর প্রভাব, লাখো মানুষ এরই মধ্যে দারিদ্র্য ও অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে পড়েছে।

আইএফআরসির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান উদয় রেগমি বলেন, ‘আমাদের এ অঞ্চলে যে গতিতে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তা সত্যিই ভীতিকর। ভারতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগী রয়েছে সাড়ে ১৫ লাখের বেশি। গত মাসের চেয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ৫০ গুণ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।’

 

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গতকাল প্রথমবারের মতো একদিনে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিন মৃত্যু হয় ১০১ জন করোনা রোগীর। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৮২ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা নয় হাজার ছাড়ায় ৩১ মার্চ। আট হাজার থেকে মৃত্যু নয় হাজার ছাড়াতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। আর সর্বশেষ এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে। দেশে চলমান এ মহামারীতে এটিই দ্রুত সময়ে এক হাজার মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে এক হাজার মৃত্যুতে সবচেয়ে কম সময় ছিল ২৩ দিন।