দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি বুকিং কাউন্টারে টিকিট বাণিজ্য


রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি:  রাজবাড়ী দৌলতদিয়া ঘাটে অতিরিক্ত টাকা ছাড়া মিলছে না বিআইডব্লিউটিসির ফেরির টিকেট এমনটি অভিযোগ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া  নৈা রুটে চলাচলরত ট্রাক চালকদের। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত জেলার গুরুত্বপূর্ণ নৌ রুট দৌলতদিয়া ফেরিঘাট । 
আর এ ঘাটেই চালক, যাত্রী এবং পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।সরকার কর্তৃক টিকিটের রশিদে যে টাকা দেওয়া আছে। তার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা না দিলে দেওয়া হয় না ফেরির টিকেট। আর এ অতিরিক্ত টাকার কোন সীমাবদ্ধতা নেই। সরকারিভাবে ট্রাকের টিকিটের রশিদের যে টাকা দেয়া আছে জ্যাক  গাড়ী,ল ৭৪০ টাকা নিচ্ছে ৮৫০ টাকা, দেড়টন গাড়ি ৭৪০ টাকা টিকিটের মূল্য নিচ্ছে ৮৮০ টাকা, তিন টন ট্রাক টিকিটের মূল্য ১০৬০ টাকা কাউন্টার   থেকে নিচ্ছে ১১০০ টাকা, বড় ট্রাক এর টিকিটের মূল্য ১৪৬০  টাকা নিতেছে ১৫০০ টাকা ।
শনিবারে  সকালের সময়  অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এ অনিয়মের চিত্র। পণ্যবাহী ট্রাক থেকে বিআইডাব্লিউটিসির অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের চাঁদাবাজি করছেন তাতে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকায় এসে দাঁড়াচ্ছে এ টাকা যাচ্ছে কোথায় ট্রাক ড্রাইভার এর প্রশ্ন থেকে যায়? ঘাট সংশ্লিষ্ট অনেকে বলেন বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট সহকারি  ব্যবস্থাপক মাহবুব হোসেন ও আরেক বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা সুমন এই দুইজনের নেতৃত্বে চলছে দৌলতদিয়া ঘাটে প্রকাশ্যে টিকিট বাণিজ্য। দেড়টন গাড়িচালক লাল মিয়া জানান সরকার নির্ধারিত মূল্য  ৭৪০ টাকার টিকিটের মূল্য তার কাছ থেকে নেয়া হয় ৮৮০ টাকা।
্পরিবহনে কিছুটা শিথিলতা থাকলেও দুর্ভোগ চরমে পণ্যবাহী ট্রাকে চালকদের। সিরিয়ালে ঢুকানো, স্কেল, টিকিট পাওয়া থেকে শুরু করে সকল জায়গায় ভোগান্তি আর উৎকোচ দিয়েও যেন রেহাই পাওয়া যায় না এদের থেকে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এর অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে ঘটছে টিকিট কাউন্টারে অনিয়ম ও দুর্নীতির এই অভিযোগ বছরের পর বছরের। উচ্চ মহলের নজরদারিতে দুই একদিন ভালো থাকলেও সারা বছর চলে এ অনিয়ম।টিকিট বাণিজ্যের কথা দৌলতদিয়া বিআইডাব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব হোসেন তার কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন যে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করতে হবে নাকি।আরেক বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা সুমন তার কাছে তিনি বলেন আমার কাছে জিজ্ঞেস না করে আপনি কাউন্টারে গেছেন কেন ।
বিআইডব্লিউটিসি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন প্রায় গড়ে এই রুটে ৫ থেকে ৮ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। এর ভেতর মালবাহী ট্রাকের সংখ্যা ১০০০ থেকে ১১০০০। সেই হিসেবে প্রতি মাসে দৌলতদিদয়া ঘাটে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে।এ টিকিট বাণিজ্য নিয়ে ট্রাকচালকদের মনের  ভেতরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ট্রাক ড্রাইভার আমিন বলেন, ‘এই রুটে আট বছর যাবৎ যাতায়াত করি। অতিরিক্ত টাকা ছাড়া কখনো ঘাট পার হইছি এমন হয় নাই।
ট্রাক চালকরা মনের ক্ষোভ ছেড়ে বলেন এই অসাধু বিআইডব্লিউটিসি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত গ্রহণ করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।