পাকিস্তানে আফগান রাষ্ট্রদূতের মেয়েকে ‘অপহরণ ও নির্যাতন’, কয়েক ঘণ্টা পর মুক্তি


পাকিস্তানে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মেয়েকে অজ্ঞাত হামলাকারীরা অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

আফগান রাষ্ট্রদূত নাজিব আলিখিলের মেয়ে সিলসিলা আলিখিলকে অপহরণের পর কয়েক ঘণ্টার আটকে রাখা হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সিলসিলা আলিখিলএর বয়স বিশের ঘরে। বিবিসি জানিয়েছে, সিলসিলা আলিখিলকে গত শুক্রবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাড়ি যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয়।

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সিলসিলা আলিখিলকে ‘মারাত্মক নির্যাতন’ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে তারা একটি অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছে।

প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলছেন, সিলসিলা আলিখিল একটি গাড়িতে চড়ে বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় একদল অজ্ঞাত হামলাকারী তাঁর গাড়িতে উঠে পড়ে এবং তাঁকে মারধর শুরু করে।

অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সিলসিলা আলিখিলকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনাকে ‘অমানবিক হামলা’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত নাজিব আলিখিল জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে ‘এখন ভালো আছে’।

এমন ঘটনায় গভীর উদ্‌বেগ প্রকাশ করেছে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় কূটনীতিবিদ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আপগান রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা কড়াকড়ি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ বলেছেন, সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দেখতে চান।

আফগানিস্তানে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটছিল। আফগান সরকারের অভিযোগ, তালেবানকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান।

তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ভেতরে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে। তারা আফগান সেনাবাহিনীর কাছ থেকে বেশ কয়েকটি সীমান্ত চৌকিও দখল করে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার ত্বরান্বিত করার পর তালেবান দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য মিত্র দেশও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে।

অন্যদিকে, আফগান সরকারের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলে পাকিস্তান বলছে, তারা নিজ মাটিতে বসে জঙ্গিদের হামলা চালাতে দিচ্ছে।