বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন ‘তামাশা’: কাদের


স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের সাথে ‘রসিকতা আর তামাশা’ ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (০৩ মার্চ) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির নবনির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি সভায় ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতিবাচক ও অপরাজনীতিতে দেশের চলমান উন্নয়ন ধারাই শুধু বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিকাশধারা। জন্মলগ্ন থেকে বিএনপি গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে গণতন্ত্র হত্যা-মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে। তারা এখনও সেই ধারাবাহিকতাই চর্চা করে চলেছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণ আশা করেছিলো নির্বাচন ও আন্দোলনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তোষণ ও পোষণ কর ত্যাগ করবে, কিন্তু তারা তা না করে উল্টো গাঁটছড়া বেঁধে আছে।’

বিএনপির আন্দোলন, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন মানেই হচ্ছে সহিংসতা আর সন্ত্রাস বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের কর্মসূচিতে এখন ভীত-সন্ত্রস্ত। বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা করলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও বাস পোড়ানোর ভয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। অথচ বিএনপি দায় চাপায় সরকারের ওপর।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন এবং নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি এখন পুলিশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। দেশের জনগণই বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বানিয়েছেন আর শেখ হাসিনাকে করেছেন বিশ্বের সেরা তিনজনের একজন সেরা রাষ্ট্রপ্রধান।’

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গেও কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছাড় দেয়া হচ্ছে, এবিষয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তা সত্য নয়। আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, এমনকি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী কোন সভায়ও এধরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’

বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়ার পরও স্থানীয়ভাবে তাদের দল সমর্থিত প্রার্থীদের প্রস্তুতি নেয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

উপ-কমিটিতে নাম লিখিয়ে কেউ চাঁদাবাজি অথবা ক্ষমতার দাপট দেখালে সাথে সাথে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে বলেও নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন ওবায়দুল কাদের।

২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপাসহ উপকমিটির সদস্যগণ।

এর আগে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির নবনির্বাচিত সদস্যগণ।