বিদ্যুৎ-দুর্নীতি নিয়ে যারা বক্তব্য দিচ্ছেন, তারাই দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক : ওবায়দুল কাদের


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ নিয়ে যারা দুর্নীতির কথা বলেন, তাঁরাই প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির মন্তব্যের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে দুর্নীতি করলে এর উৎপাদন ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করা সম্ভব হতো না, শিল্পায়নের বিকাশ ঘটত না, অর্থনীতির সমৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি ঘটত না।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার বিএনপির বেসামাল দুর্নীতি ও লুটপাটের পথ বন্ধ করে দেশের জন্য এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন বিদ্যুতের আলো।’

বিএনপি নেতারা সহজেই তাদের অতীত ভুলে যেতে চাইলেও জনগণ ঠিকই তা মনে রাখেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের সময়কালে দেশে দিনে ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং চলত।’

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকার বৈপ্লবিক সাফল্য দেখিয়েছেন—দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ২২০ কিলোওয়াট, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াট।’

মন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‘২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিল মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে শতভাগ। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল তিন হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট, বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুতে গ্রাহক সংখ্যা ছিল এক কোটি ৮ লাখ। ২০২২ সালের এপ্রিলে এসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ২৭ লাখ। সরকারের এ সাফল্যে বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার আশঙ্কা কাটাতে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশকেও কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।