বয়স ধরে রাখতে চান? মটরশুটি খান


শীত চলে এসেছে। বাজারে উঠছে শীতকালীন সবজি। আর শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম মটরশুটি। পুষ্টিগুনে অন্য যেকোন সবজির চেয়ে বেশ এগিয়ে। এটি রান্না করে খেলে মটরশুটি। ভাজা অবস্থায় খেলে সেটি ভুট। মটরশুটি অনেকেরই পছন্দের। খাবারের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই এটি ব্যবহার করেন বিভিন্ন রান্নায়। সুস্বাদু এই শস্যদানাটির রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ।

গবেষণায় দেখা গেছে, এক কাপ মটরশুটিতে ১ শ’র কম ক্যালরি আছে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আঁশ এবং অনেক ধরনের পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে। এতে ফ্যাট কম থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল আছে। যাতে ত্বকের উজ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্য বিশষজ্ঞদের দাবি, মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকায় প্রসুতি মায়ের মটরশুটি খেতে পারেন। শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় ও রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে জুড়ি নেই মটরশুটির।

 

মেক্সিকান গবেষকরা বলছেন, কেউ যদি প্রতিদিন ২ মিলিগ্রাম পলিফেলনসমৃদ্ধ খাবার খান তাহলে তার পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আর এক কাপ মটরশুটিতে অন্তত ১০ মিলিগ্রাম পলিফেলন থাকে। তাই এটি পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি কমাত দারুণ কার্যকরী। এতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রাণশক্তি বাড়ায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। একারণে ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও এটি বেশ উপকারী।

ভিটামিন বি১,২,৩,৬ এর উৎস হওয়ায় এটি শরীরের হোমোসাইস্টাইন লেভেল কমায়, এ কারণে শরীরে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় মটরশুটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে। এক কাপ মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। ফলে হাড় মজবুত রাখার ক্ষেত্রেও মটরশুটি বেশ কার্যকরী। এছাড়া শরীরে খারাপ কোলেষ্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও দারুণ ভূমিকা রাখে মটরশুটি।