রাবির মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শহীদ কামারুজ্জমান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশনের বৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান


রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শহীদ কামারুজ্জামান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশন’ বৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান এবং ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে রাবির শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ কামারুজ্জামান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে শহীদ কামারুজ্জামান এন্ড জাহানারা ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বৃত্তির চেক ও সম্মাননা প্রদান করেন সিটি মেয়র লিটন। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার করে টাকা আগামী চার বছর পাবেন।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের জিন্নাত মামদুহা ইমু, আইন বিভাগের সম্পৃক্তা রায়, অর্থনীতি বিভাগের অনু খাতুন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আজমির জাহান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌছে দিতেন জাতীয় চার নেতা। তাঁরা দেশপ্রেমে মানুষের কল্যানে এতোটায় ব্যস্ত ছিলেন যে, আমরা যারা জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যরা আছি, তারা বাবাদের তেমন কাছে পেতাম না।’

মেয়র আরো বলেন, ‘অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিতে আমার বাবা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও মা মরহুমা জাহানারা জামানের নামে ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। এবার ১মবার বৃত্তি প্রদান করা হলো। আগামীতে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদেরকে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।’

সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাখাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। অবকাঠামো নির্মাণসহ শিক্ষার মান উন্নয়ন করেছেন। শুধু শিক্ষাখাত নয়, দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের বিস্ময়। সবই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সুলতান-উল ইসলাম। মুখ্য আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রশাসনের উর্ধ্বর্তন কর্মকর্তা, রাজশাহী মহানগর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।