আগামীতে ৫ বছরে অন্তত ৫০ হাজার  কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে- খায়রুজ্জামান লিটন


স্টাফ রিপোর্টার:  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ২০০৮-২০১৩ সালের মেয়াদে মেয়র থাকা অবস্থায় বাগমারা আসনের সংসদ সদস্যকে সাথে নিয়ে ঢাকার বড় বড় ব্যবসায়ীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক ও আলোচনা করেছি। একটা পর্যায়ে কয়েকজন রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু রাজশাহী দেশের এক প্রান্তে হওয়ায় ব্যবসায়িক দিক থেকে ক্ষতির চিন্তা কওে এগিয়ে আসতে চাননি শুধুমাত্র ইঞ্জি: এনামুল হক ছাড়া।

তা নৌ যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। বিদেশী মালামাল আনা নেয়া ছাড়াও ভারতের সাথে নৌ যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবসা বানিজ্যেও প্রসার ঘটানোর জন্য এখানে একটি নৌবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাজশাহীর বেলপুকুরে চামড়া শিল্পপার্ক গড়ে উঠলে কর্মসংস্থানের অনেক জায়গা তৈরি হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল-২ তে অনেক ছেলে মেয়ের চাকরির জায়গাও তৈরি হবে বলে। আগামীতে ৫ বছরে অন্তত ৫০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। রাজশাহীর ছেলে মেয়েদের বাইরে যেয়ে থাকতে হবে না। নিজ শহরে চাকরি করে পরিবারের সাথে থাকতে পারবে। এতে অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী হবে সবাই। এগিয়ে যাবে রাজশাহী।

সোমবার (২২ মে) দুপুরে রাজশাহীস্থ বাগমারাবাসীর আয়োজনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জি: এনামুল হক।

সভায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী শহরের উন্নয়ন আপনারা নিজেরা দেখতে পাচ্ছেন। সিটি কর্পোরেশন রাজশাহী জেলার অংশ। রাজশাহী শহর উন্নত হলেও সার্বিকভাবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ পিছিয়ে আছে। এই দুই বিভাগে ধান ও মাছ চাষ হচ্ছে অনেক বেশি। এদিক থেকে আমরা এগিয়ে আছি। কিন্তু শিল্পায়নের দিক থেকে আমরা পিছিয়ে। তাই এবারে আমরা কর্মসংস্থান তৈরির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী শহর থেকে বাগমারা অনেক দূরে অবস্থিত এবং আয়তনেও অনেক বড়। একটা সময় শহর থেকে বাগমারা যেতে এক বেলা চলে যেতো, আর  এখন বড় বড় রাস্তাঘাট তৈরি হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া যাচ্ছে। এটি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কারণে হচ্ছে। আগামীতে এই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হবে।

সভায় রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো: মনসুর রহমান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী  জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনীল কুমার সরকার,  জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রায়হানুল হক, বাগমারা উপজেলা শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি রাবির শিক্ষক ড. মো. শরীফুল ইসলাম, রাবি ভেটেনারী এন্ড এনিমেলসায়েন্সের অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. জালাল উদ্দিন সরকার, আমরা বাগমারাবাসীর সভাপতি মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ সরকার বক্তব্য রাখেন।

এ সময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন, রাবির প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, কামারুজ্জামান, আমিনুল হক টুলু, আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু, মো: ছালিমুদ্দীন, শাখিল খান, আতিকুর রহমান রিপনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বাগমারার প্রায় পাঁচশো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুল।