আয়ু বাড়ে ৮ খাবারে


অপার সুন্দর এই পৃথিবীতে কে মরিতে চায়! বরং যতটা সম্ভব বাঁচার তাগিদ অনুভব করে মানুষ। সুস্থ ও সুন্দরভাবে দীর্ঘায়ু লাভ করার জন্য মানুষ নিরন্তর অভ্যাসে পরিবর্তন আনে। শরীর-স্বাস্থ্য সম্পর্কে অধিক সচেতন হয়ে উঠে। 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে বটে, তবে মানুষ এখন খুব অল্প বয়স থেকেই নানা রোগে অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে।

কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো মানুষের আয়ু বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এ প্রতিবেদনে তেমনই ৮টি খাবারের কথা তুলে ধরা হলো-

আমলকি : আমলকিতে থাকে ভিটামিন ‘সি’। এ ফলটি বিভিন্ন ধরনের রোগ ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। মানুষের যৌবন ও সতেজতা ধরে রেখে বার্ধক্য ঠেকাতে এবং দীর্ঘায়ু পেতে ভূমিকা রাখে।

আদা : মাটির নিচে বেড়ে উঠা আদায় অন্তত ২৫ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এলাচ : এলাচে থাকে পূর্ণ এসেনসিয়াল অয়েল। যা হজম শক্তি বাড়ায়, রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, রক্ত সঞ্চালন ও শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে। এলাচের চা পানে শরীরের টক্সিন বেরিয়ে যায়।

আজওয়াইন : আজওয়াইনের হার্টের জন্য খুবই ভালো। কারণ এর বীজে নিয়াসিন ও থাইমল থাকে। এটি কাজ করে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও।

জিরা : অধিকাংশ তরকারি রান্নাতেই জিরা ব্যবহার করা হয়। জিরা পেটের সমস্যা দূর করে। এটা আয়রন ও ফাইবারের ভালো উৎস। রাতে এক গ্লাস পানিতে জিরা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালিপেটে খেলে তাতে খুবই উপকার হয়। জিরায় হজম শক্তি বাড়ে ও  বিপাক প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।

লবঙ্গ : লবঙ্গতে প্রচুর পরিমাণে ম্যা্ঙ্গানিজ রয়েছে। যা বিপাক প্রক্রিয়া সচল ও নার্ভাস সিস্টেম স্থিতিশীল রাখে।

কালো গোলমরিচ : বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত একটি মশলার নাম লবঙ্গ। মিনারেল সমৃদ্ধ এ মশলাটি হলুদের পুষ্টিগুণ বাড়ায়। তাই হলুদ ও দুধ মিশয়ে খাওয়ার সময় তাতে লবঙ্গ দিয়ে দিলে খাবারটি আরো স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। এটা আমাদের পরিপাকতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে।

মধু : দীর্ঘায়ু পেতে মধুকে বলা হয় সুপারফুড। মধু খেলে শরীরে বয়সের ছাপ পড়বে না। সৌন্দর্য অটুট থাকবে। মধুতে থাকা প্রাকৃতিক মিনারেল নানা রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন এক চা চামচ মধু কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে আয়ুও বৃদ্ধি পায়।