রাপ্র ডেস্ক: ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার। বিবিসি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
১. পরিবহণ
বাস, ট্রেন কিংবা অন্য যে কোন ধরণের যান বাহনের হাতল কিংবা আসনে করোনাভাইরাস থাকতে পারে। সেজন্য বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
২. কর্মক্ষেত্র
অফিসে একই ডেস্ক এবং কম্পিউটার ব্যবহার করলেও ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁচি-কাশি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায়। অফিসের ডেস্কে বসার আগে কম্পিউটার, কিবোর্ড এবং মাউস পরিষ্কার করে নিন।
৩. ভিড়
যেসব জায়গায় মানুষ বেশি জড়ো হয় সেসব স্থান এড়িয়ে চলা কিংবা বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।এর মধ্যে খেলাধুলার স্থান, সিনেমা হল থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থানও রয়েছে।
৪. কলম ও এটিএম
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যখন গ্রাহকরা যান তখন অনেকেই সেখানে থাকা সেই অফিসের কলম ব্যবহার করেন।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি যদি সেই কলম ব্যবহার করেন তাহলে পরবর্তী ব্যবহারকারীদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
নিজের কলম আলাদা করে রাখবেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
এটিএম বুথের বাটন অনেকে ব্যবহার করেন, সেখানেও ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি বিরাট। এটিএম ব্যবহার করেই হাত জীবাণু নাশক দিয়ে ধুয়ে নিন।
৫. লিফট
ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরেকটি জায়গা হতে পারে বাড়ি কিংবা অফিসের লিফট।
লিফট ব্যবহারের সময় নির্ধারিত ফ্লোরে যাবার জন্য লিফটের বাটন অনেকে ব্যবহার করছেন।
বিভিন্ন অফিস ভবনে প্রতিদিন শত-শত মানুষ লিফট ব্যবহার করছেন।
এদের মধ্যে কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী থাকেন এবং সে লিফটের বাটনে অন্যদের আঙ্গুল গেলেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
লিফট থেকে বেরিয়ে দ্রুত হাত জীবাণু নাশক দিয়ে ধুয়ে নিন।
৬. টাকা-পয়সা
টাকা বা কয়েনে নানা ধরণের জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত করার ঘটনা নতুন নয়।
৭. শুভেচ্ছা বিনিময়
করমর্দন এবং কোলাকুলির মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে।
আপনি যে ব্যক্তির সাথে কোলাকুলি এবং করমর্দন করছেন, তিনি যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে সেটি অন্যের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
এজন্য করমর্দন এবং কোলাকুলির না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন সবকিছুর মূল কথা হচ্ছে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা।
হাত না ধুয়ে নিজের মুখমণ্ডল স্পর্শ করবেন না। এটি হলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য নিয়মিত ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।