বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় ঢাকাফেরত চিকিৎসক ও পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) নতুন করে আরও পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ৮ মে নতুন করে যে পাঁচজনের করোনা পজিটিভ এসেছে তাদের মধ্যে মাত্র একজনের বগুড়া শহরের বাইরে যাওয়ার কোন তথ্য নেই। নতুন ওই পাঁচ রোগীকে নিয়ে বগুড়ায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৮ জনে দাড়ালো।
বগুড়ার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে, ৮ মে শুক্রবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে জেলার মোট ১৮৯টি নুমনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে পূর্বে করোনা আক্রান্ত দুই রোগীর এবং নতুন করে ৫ জনেরসহ ৭টি পজিটিভ আসে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, ঢাকা ফেরত ৪ করোনা আক্রান্তদের মধ্যে শহরের নারুলী উত্তরপাড়ায় ২৭ বছর বয়সী এক চিকিৎসকের বাড়ি । তিনি গত ৫ মে ঢাকা থেকে বগুড়া আসেন এবং ওইদিনই নমুনা দেন সংশ্লিস্ট ল্যাবে। একইদিন শহরের কৈগাড়ি এলাকার ৩০ বছর বয়সী যে গৃহবধূর নেয়া নমুনায় করোনা পজিটিভ হয়। ঢাকাফেরত অন্য দু’জনের মধ্যে একজন পুলিশের এএসআইয়ের বাসা শহরের কলোনী এলাকায়। ৩৯ বছরের ওই পুলিশ সদস্য গত ৩ মে ঢাকা থেকে ফেরেন এবং ৪ দিনের মাথায় ৭ মে নমুনা দেন। অপর ব্যক্তির বাড়ি জেলার শাজাহানপুর উপজেলার ম-লপাড়ায়। পেশায় ইজিবাইক চালক ৩৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ১০ দিন আগে ঢাকা থেকে ফেরেন। তার নমুনা গত ৫ মে সংগ্রহ করা হয়। করোনা পজিটিভ প ম ব্যক্তির বাড়ি বগুড়া শহরের চেলোপাড়া এলাকায়। স্থানীয় একটি ছ’মিলে কর্মরত ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নমুনা গত ৭ মে সংগ্রহ করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে ইতোপূর্বে করোনা আক্রান্ত দুই রোগীর আরেক দফা নমুনা পরীক্ষার ফলাফলও শুক্রবার পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তদের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আক্রান্তদের সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা শুধু চিকিৎসককে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যাপারে একমত হয়েছি। বাকিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থানীয় থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’ বলে ওই ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান।