তানোরে করোনা রোগী সব চাইতে বেশী, মানুষের অবাধ বিচরণ


তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী আছেন তানোর উপজেলায়। এখানে সর্বোচ্চ ১০ জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগী আছেন হোম আইসোলেশনে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পুঠিয়া। এ উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৯ জন।

গত ১২ এপ্রিল পুঠিয়া উপজেলাতেই গোটা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে তিনি জানান, রাজশাহীতে এ পর্যন্ত ৪৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১১ জন।

এখনও চিকিৎসাধীন ৩৫ জন। তানোরে সর্বোচ্চ রোগীর সংখ্যা ১০ জন। তবে এ উপজেলায় কেউ মারা যাননি। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় শনাক্ত হয়েছেন ৮ জন। 

এছাড়া বাঘা উপজেলায় ৫, দুর্গাপুরে ৩, বাগমারায় ৩, মোহনপুরে ৬ এবং পবায় ২ জন শনাক্ত হয়েছেন। সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, জেলার গোদাগাড়ী ও চারঘাট উপজেলা এখনও করোনামুক্ত রয়েছে। করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে এ পর্যন্ত চারঘাটে ১১৮ এবং গোদাগাড়ীতে ৬০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। চারঘাটে এখন কেউ কোয়ারেন্টাইনে নেই। 

তবে গোদাগাড়ীতে এখনও ২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সিভিল সার্জন জানান, রাজশাহী জেলা ও মহানগরে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯০৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ দিন পূর্ণ হওয়ায় ১ হাজার ৮১৭ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। এখনও ৮৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। 

এদের মধ্যে ৫৭ জনকে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের তিনজনের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীতে। বাকি ৫৪ জনের বাড়ি বাঘা। গত ২৪ ঘণ্টায় এরা বাইরের জেলা থেকে রাজশাহী এসেছেন। এর মধ্যে ঢাকা থেকেই এসেছেন ৪৯ জন। আর নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন ৪ জন। এছাড়া নাটোর থেকে ২ এবং মানিকগঞ্জ ও নোয়াখালী থকে ১ জন করে এসেছেন।