দুর্গাপুর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর দুর্গাপুরে শ্রেনিকক্ষের ভিতরে এক ছাত্রীকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম কবিতা খাতুন (১৫), সে উপজেলার পাঁচুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। বুধবার বেলা ১১টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের শ্রেনিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত ওই স্কুলছাত্রীকে দেখতে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) (ইউএনও) কৃঞ্চ চন্দ্র , উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক।
আহত কবিতার মা রিনা খাতুন বলেন, তার মেয়ে ওই স্কুলের নবম শ্রেনীতে পড়েন। বুধবার কবিতার শ্রেনিকক্ষে বিজ্ঞান ক্লাসে নিতে আসেন সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক (বিএসসি), ক্লাসে ঢুকেই শিক্ষক রাজ্জাক এক ছাত্রকে বাহির থেকে বেত নিয়ে আসতে বলেন। ওই ছাত্র বেত না পেয়ে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প নিয়ে শ্রেনিকক্ষে ঢুকেন। পরে ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাসের শিক্ষার্থীরা হট্টগোল শুরু করেন।
এ সময় কাউকে কিছু না বলে আমার মেয়ে কবিতাকে সহকারি শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। রিনা আরও বলেন, আমার মেয়ে আগে সহকারি শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বি এস সির কাছে প্রাইভেট পড়ত। কিছু দিন পূর্বে তার কাছে প্রাইভেট ছেড়ে দিয়ে অন্য শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট নেন। এ কারণে আমার মেয়ের সঙ্গে সহকারি শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক খারাপ আচারণ করতেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পাঁচুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনার পর তারা এ বিষয়ে মীমাংসা হয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য নেই বলে ফোন কেটে দেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীর খোঁজ খবর নিয়েছি। তার শরীরে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ডেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও) কৃঞ্চ চন্দ্র বলেন, খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে গিয়েছি। চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেছি। ওই শিক্ষার্থীর হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।