অলিউল হক ডলার, নাচোল প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে মিষ্টি কুমড়ার ভাল ফলন হলেও দাম কম পাওয়ায় হাসি নেই কৃষকের মুখে। একদিকে উৎপাদন খরচ বেশী অপর দিকে সঠিকভাবে বাজারজাত করতে না পারায় দুঃচিন্তা করতে হচ্ছে কৃষকদের ।
করোনার কারণে সবজির বাজারে ধস নামায় কৃষকের মাথায় হাত। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাচোল উপজেলার শ্রীরামপুরের গ্রামের আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ কবির। এ বছর সবজি ব্যবসায়ী কবির শুধু ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে কৃষিজমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন। কবির হোসেন উপজেলার গোপালপুর গ্রামে পাকা রাস্তার দু ধারে প্রায় ৩৩বিঘা জমিতে এবং বান্দ্রা গ্রামে ১৫বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন। এবছর মিষ্টি কুমড়া চাষে ব্যাপক ফলন হলেও সঠিক দাম না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন সবজি ব্যবসায়ী কবির।
করোনা ভাইরাসের পূর্বে বাজারে মিষ্টি কুমড়ার দাম ছিলো কেজি প্রতি ২০থেকে ৩০টাকা। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে সঠিক ভাবে পরিবহণ ও বাজারজাত করতে না পারায় সেই মিষ্টি কুমড়া বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি মাত্র ৫টাকা করে। অন্য দিকে কোন কোন বাজারে নেওয়ার মতো ক্রেতা ও নাই। ফলে কৃষক মাঠ থেকে সবজি তুলে এনে বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না।
সবজি ব্যবসায়ী কবির হোসেন জানান,এবছর আমি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রায় ১৬ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করি। মিষ্টি কুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে। আকারে অনেক বড় ও সুস্বাদু। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সেই মিষ্টি কুমড়া সঠিক ভাবে পরিবহন ও বাজারজাত করতে পারছি না। করোনার আগে যে মিষ্টি কুমড়ার মূল্য ছিল ২০/৩০ টাকা কেজি, তা এখন ৫/৬ টাকা কেজি।
করোনার কারণে সবজি বিক্রিতে ধস নেমেছে। তিনি আরো বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান যদি নায্য দাম দিয়ে আমাদের কাছ থেকে সরাসরি মিষ্টি কুমড়া কিনে নেয় তাহলে দিন দিন এই মিষ্টি কুমড়ার চাষের প্রতি মানুষের আস্থা আরো বাড়বে এবং মিষ্টি কুমড়ার চাষ বাড়তেই থাকবে এমনকি সঠিক দাম পেলে কৃষকেরা মিষ্টি কুমড়া চাষে আরো বেশি আগ্রহী হবে।
এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহাম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এ বছর ধানের নায্য মূল্য পাচ্ছে কৃষক। করোনা ভাইরাসের কারণে সবজি ব্যবসায়ীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মিষ্টি কুমড়া চাষের বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। মিষ্টি কুমড়া ব্যবসায়ী ফিরোজ কবির আমাদের অফিসে যোগাযোগ করলে তাঁকে কিছু প্রনোদনা দেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে অনুরোধ জানাবো।