রমজানে ভীড় বাড়ছে রসালো ফলের


নিজস্ব প্রতিবেদক: দেখতে দেখতে কেটে গেলো রমজানের তৃতীয় দিন। লকডাউনের ফলে নেই কর্ম ব্যস্ততা। নেই বাইরে যাওয়ার তাড়া। তাই সোমবার রমজানের তৃতীয় দিন ঘরে বসে পরিবারের সাথে আড্ডা দিয়েই কেটে গেলো। আজ মঙ্গলবার রমজানের চতুর্থ দিন।

রমজানের তৃতীয় দিনে লোকজনের মধ্যে তেমন কর্মতৎপরতা দেখা যায়নি। সকালের দিকে কিছু লোকজনকে বাইরে বাজারে দেখা গেছে। তবে এটা ছিল সীমিত আকারে। বেলা ১১টার পর লোকজন প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হন। প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে ফিরেন বাড়ি। তবে বিকেলের চিত্র দেখা গেছে ভিন্ন। তবে বেলা ১১টা পর থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া নজরদারির কারণে লোকজনদের খুব বেশি সময় বাজারে থাকতে দেখা যায়নি।

লকডাউনের ফলে রাজশাহী নগরীতে এবার বসছে না ইফতারের পসরা। যার কারণে এবার বাড়িতে তৈরি করা ইফতারই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে যার সাধ্য মত বাড়িতেই তৈরি করছেন রকমারি ইফতার সামগ্রী। এছাড়া বিকেল হলেই লোকজন বেরিয়ে পড়ছেন নগরীর মোড়ে মোড়ের ফলের দোকানগুলোতে ফল কিনতে। এবার বৈশাখে রমজান হওয়ার কারণে বাজারে মিলছে রসালো সব ফল। খেজুর, আপেল, আঙ্গুরের পাশাপাশি রয়েছে রসালো তরমুজ, ডাব, বেল। তরমুজের ভরা মওসুমে রমজান হওয়ার কারণে অন্যান্য ফলের সাথে তরমুজের চাহিদা রোজাদারদের কাছে একটু বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

দেখা গেছে নগরীর, নগরীর বিন্দুর মোড়ে কয়েকটি ফলের দোকান রয়েছে। সেখানে অন্যান্য ফলের সাথে বিক্রি হচ্ছে রসালো তরমুজ। রোজাদাররা বিকেল পড়ার সাথে সাথে বিন্দুর মোড়ের ফলের দোকানে ভীড় করছেন। এছাড়াও নগরীর জিরোপয়েন্টের দু’একটি জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ফল। বিভিন্ন রসালো ফলের সাথে একই স্থানে বিক্রি হচ্ছে ডাব। লোকজনদের ফল কিনতে খুব বেশি দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে না। সব ফলের দোকানেই রসালো ফল ও খেজুর পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে বিকেলে ফলের দোকানগুলোতে ভীড় লক্ষ্য করা যায়। তবে আমদানি কম থাকায় এবার খেজুর ও রসালো সব ধরনের ফলের দাম একটু বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনের কারণে রসালো ফল আমদানি কম। যার কারণে দামটা একটু বেশি নিতে হচ্ছে।