রাজশাহী নগরীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে চলছে লকডাউন। লকডাউনের কারণে দিনে ও রাতে নগরবাসীকে ঘরেই থাকতে হচ্ছে বেশিরভাগ সময়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যস্ততার কারণে রাসিক থেকে বাড়তি নজর দেয়ার জন্য ভাটা পড়েছে মশক নিধন কার্যক্রমে। এতে নগরীতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরে কিম্বা বাইরে মশার দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ। কয়েল কিংবা অন্য কোনো উপায়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার অত্যাচার বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাতের তো বটেই, দিনেও বেড়েছে মশার উপদ্রব। করোনা ভাইরাসের কারণে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ অসহায় মানুষের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার সুবাদে থেমে গেছে মশক নিধন কার্যক্রম। যার ফলে মশা যেনো কাল হয়ে দাড়িয়েছে নগরবাসির কাছে। করোনা ভাইরাসের কারণে রাসিক থেকে সচেতনতামুলক প্রচারাভিযান চালানো হলেও মশা নিধনে এখনও কোন বাড়তি কার্যক্রম হাতে নেয়নি রাসিক। তবে রাসিক কর্তৃপক্ষ বলছেন, আগের চেয়ে বর্তমান মশার উদ্রব অনেক কম। তারপরও চেষ্টা করা হচ্ছে মশা নিধনের।

নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম না বাড়ায় মশা নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষদের। রাত হলেতো কোন কথায় নেই, দিনেও বেড়েছে মশার দাপট। করোনার কারণে নগরীর ড্রেন পরিষ্কারের গতি কমে এসেছে। যার কারণে ড্রেনে জন্ম নেয়া মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। নগরীতে মশার এতোটাই দাপট যে কয়েল কিংবা অন্য কোনও উপায়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই মিলছে না।

এদিকে দিনের বেলায় নগরীতে মানুষ চলাফেরা করছে অনেক কম। সন্ধ্যার পর কিছু লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন। বের হওয়ার পরই তারা মশার কবলে পড়ছেন। বিশেষ করে নগরীর ব্যাংক বীমা, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে রাতের পাহারাদাররা বলছেন, সন্ধ্যার পর ঘরে হয়তো কম মশা কিন্তু বাইরে একেবারে মাছির মত মশা দেখা যায়। কয়েল জালিয়ে এসব মশা তাড়ানো যায় না। চারপাশে কয়েল জালিয়ে দিলেও রক্ষা পাওয়া যায় না।

নগরীর ১২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুমন আলী বলেন, মশার কারণে বাসায় থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কয়েল জ্বালিয়ে কিংবা স্প্রে দিয়েও রেহাই মিলছে না।

তবে মশা নিয়ে নগরবাসীর অভিযোগকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শেখ মামুন। তিনি বলছেন, রাজশাহীতে মশার পরিমাণ অনেক কম। গত মার্চ মাসেই ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশা মারা হয়েছে। নিয়মিত রুটিং মাফিক তেল ছিটিয়েই নগরীতে মশা নিধন কার্যক্রম করা হচ্ছে। তবে আগামীতে আবারো ফগার ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি।