প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক প্রকৌশলীর সাথে মারামারির সময় তাকে স্থানীয়রা গণপিটুনিও দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
উত্তরা মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. ফুয়াদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সড়কে একজনকে মারধরের ঘটনায় অপুর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অপুর আরেক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার প্রকৌশলী মেহেদি হাসান রবিন উত্তরার সড়কটি দিয়ে তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সাথে তার ২-৩ জন বন্ধুও ছিল। তবে আলাউল এভিনিউয়ের সড়ক আটকে অপু ভাই ও তার সহযোগীরা টিকটক বানাচ্ছিল।
রবিন রাস্তা আটকানো দেখে হর্ন বাজায়। হর্ন বাজানোর পর অপু ও তার সহযোগীরা বিরক্ত বোধ করে এবং গাড়িকে উদ্দেশ্য করে অশালীন কথা বলতে থাকে। রবিন আর তার বন্ধুরা গাড়ি থেকে নেমে সাইড দিতে বলে।
তবে কেন গাড়ির হর্ন বাজানো হলো এবং কেন রাস্তা ছাড়তে বললো, এ কারণে অপু ও তার সহযোগীরা রবিনসহ তার দুইজন বন্ধুকে মারধর করে। এতে রবিন এবং বাকি দুইজন গুরুতর আহত হয়। অপুর মারামারির ঘটনা রবিবারের, মামলা ও গ্রেফতার হয়েছে সোমবার।
এরপর স্থানীয়রা অপু ও তার সহযোগীদের বিরক্ত করার জন্য গণপিটুনি দেয়। সে সময় পুলিশ অপু ও তার আরেক সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।