এবার শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা


বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আরেকটি জয়। ছবি : আইসিসি

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই ছন্দ ধরে রাখল দ্বিতীয় ম্যাচেও। অস্ট্রেলিয়ার পর শ্রীলঙ্কার মেয়েদের হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল।

আজ সোমবার মেয়েদের এই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে ১০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই নিয়ে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আছে বাংলাদেশ নারী দল। এই গ্রুপের বাকি তিনদল হলো—অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পরের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচের জয়ের আত্মবিশ্বাস দ্বিতীয় ম্যাচেও কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে করেছে চমৎকার ব্যাটিং। নিজের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শ্রীলঙ্কাকে ১৬৬ রানের শক্ত লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। যে লক্ষ্য তাড়ায় শ্রীলঙ্কা থেমে যায় ১৫৫ রানে।

রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। ২৪ রানের মধ্যে হারায় দুই ওপেনারকে। সেই ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক ভিস্মি গুনারত্নে ও দেওমি। দুজন মিলেন লড়াই জমিয়ে তোলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের প্রতিরোধ ভেঙে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৫৪ বলে ৬০ রান করেন বিস্মি। আর ৪৪ বলে ৫৫ রান করেন দেওমি।

এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এই রান তুলতে মাত্র দুই উইকেট হারিয়েছে লাল-সবুজের দল।

দক্ষিণ আফ্রিকার উইলমোর পার্কে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে চমৎকার জুটি উপহার দেন আফিয়া প্রত্যাশা ও মিষ্টি শাহা। এই জুটিতে বাংলাদেশ পায় ৭৫ রান।

১২তম ওভারে এসে ভাঙে এই জুটি। ৪৩ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান প্রত্যাশা। এরপর ১৪ রানে ভাঙে মিষ্টির প্রতিরোধ। এই দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে আরেকটি জুটি উপহার দেন দিলারা আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার। দুজনে মিলেই বাংলাদেশকে টানেন বাকি পথ।

ইনিংসের শেষ বলে ডাবল নিয়ে মাত্র ২৮ বলে ফিফটি করেন স্বর্ণা। ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার ছিল তার ইনিংসে। অপর প্রান্তে দারুণ ইনিংস খেলেছেন দিলারা আক্তার। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে মাত্র ২৭ বলে ৩৬ রান করেন দিলারা। প্রত্যাশা-স্বর্ণা দুজনেই অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৮৬ রান। তাতে বাংলাদেশ পায় ভালো পুঁজি। যাতে ভর করে পেয়ে যায় দ্বিতীয় জয়ের নাগাল।