করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যখাতে বায়োটেকনোলজিস্ট নিয়োগের দাবি


আকরাম হোসাইন, রাবি প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের ক্রান্তিলগ্নে স্বাস্থ্যখাতে আরও বায়োটেকনোলজিস্ট নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গ্রাজুয়েটরা। দেশের এই দুর্দিনে নিজেদের জীবন বাজি রেখে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করলেও যথাযথ মুল্যায়ন পাচ্ছেন না। বিভাগটি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব বায়োটেকনোলজি গ্রাজুয়েটস প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। 

এর আগে বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টেস্ট ও চিকিৎসা বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে নির্দেশনার ‘এ’ অনুচ্ছেদের জি পয়েন্টে Trained Laboratory Personnel পদে মাইক্রোবায়োলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, বায়োকেমিস্ট ও মলিকুলার বায়োলজিস্ট, ভাইরোলজিস্ট ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টসদের নাম অন্তর্ভুক্ত হলেও এখানেও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজিস্টদের নাম উপেক্ষিত থেকেছে বলে দাবি করছে সংগঠনটি। বিএবিজি’র সভাপতি অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ডঃ এস এম মাহবুবুর রশিদ এ বিজ্ঞপ্তি দেন। 

এতে উল্লেখ করা হয়, “করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রকোপে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের মতই বাংলাদেশে দিন দিন রোগী ও মৃতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তা মোকাবিলায় সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসক, নার্স বা মেডিক্যাল স্টাফদের পাশাপাশি বায়োলজিক্যাল সায়েন্স এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ যেমন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি, মাইক্রোবায়োলজি এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি- থেকে পাশ করা জনশক্তি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম হিসেবে এসব বিভাগের গ্র্যাজুয়েটগণ সারাদেশে টেস্ট সেন্টার স্থাপন, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। 

আমরা বলতে চাই তত্ত্বীয় জ্ঞান ও গত তিন-চার মাসের কাজের অভিজ্ঞতা তাদেরকে এই তালিকার সবচেয়ে যোগ্যদের মাঝে স্থান দিতে যথোপযুক্ত ছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমরা তার কোন প্রতিফলন দেখতে পাইনি। যার কারণে দেশের টানে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে যাওয়া জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচন্ড হতাশা বিরাজ করছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী ল্যাবরেটরির সংখ্যা বেড়ে চলেছে, সেখানে ল্যাবরেটরির বায়োসেফটি ও বায়োসিকিউরিটি বিধান করাও সমধিক গুরুত্ববহ। এসব কাজ সূক্ষ বৈজ্ঞানিক বিষয় এবং তা করার জন্য এবিষয়ে তত্ত্বীয় ও প্রায়োগিক ভাবে দক্ষ ও পারদর্শী লোকবল দরকার। 

মলিকুলার বায়োলজি টেকনিক সম্পর্কিত সকল পদে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি – গবেষণাধর্মী এই তিন বিভাগের গ্র্যাজুয়েটদেরকে একই ভাবে বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন তারা।