কুড়িগ্রামের রৌমারী ব্রীজ ধষে ১৮ টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে


মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরশৌলমারী বাজার হতে কলেজে যাওয়ার রাস্তায় খলিলের বাড়ির পার্শ্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৬ ও ২০১৭ অর্থ বছরে ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকায় ৬০ ফিট নির্মানকৃত ব্রীজটি ৩ মাস যেতেই বন্যার ছোবলে দেবে যাওয়ায় প্রায় ১৮ টি গ্রামের মানুষ কলেজ, হাটবাজার ও উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যোগাযোগে কোন বিকল্প রাস্তা নেই। ৫ বছর মেরামত না হওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

জানা গেছে, রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরশৌলমারী বাজার হতে কলেজ যাওয়ার রাস্তায় খলিলের বাড়ির পার্শ্বে ব্রম্মপুত্র নদের শাখা খালের উপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/ কালভার্ট ২০১৬ ও ২০১৭ অর্থ বছরে ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকায় ৬০ ফিট ব্রীজটি নির্মান করা হয়।

৩ মাস যেতে না যেতেই বন্যার ছোবলে রাতারাতি ব্রীজটি দেবে যায়। যার ফলে ঘুঘুমারী, সুখের বাতি, খেদাইমারী, চরঘুঘুমারী, কলেজ পাড়া, পাহালী পাড়া, চর গেন্দার আলগা, দই খাওয়ারচর, খাওরিয়ারচর, কাজিয়ারচরসহ প্রায় ১৮ টি গ্রামের প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে শুকনা মৌসুমে বিকল্প পথে চলাচল করলেও বন্যার শুরু থেকে প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস অতিকষ্টে চলাচল করতে হয় স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র ছাত্রী ব্যবসায়ী ও হাটুরেদের।

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ বছর আগে ব্রীজটি নির্মানের ৩ মাস যেতেই বন্যার তীব্র ¯্রােতে দেবে যায়। এলাকার মানুষ স্কুল পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রী ব্যবসায়ী চরাঞ্চলের মানুষ ধান, পাট, আখ, রবিজাতিয় ফসলাদি হাট-বাজারে নিতে পারে না। এতে এ অঞ্চলের সকল মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনছার আলী তুহিন জানান, এ ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে স্কুল কলেজ, কৃষকের মালামাল বহন ও জেলা সদরে যাওয়া মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে। ব্রীজটি মেরামতের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কোন কাজ হচ্ছে না।

চরশৌলমারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন বলেন, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে আমার কলেজের শিক্ষক, কর্মচারি, ছাত্র/ছাত্রী এবং কি এ এলাকার প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষের চলাচল কিংবা মালামাল বহনে চরম ভাবে ব্যহত হয়েছে। ব্রীজটি মেরামতের জন্য অনেকবার বলেছি। কাজ হবে হবে বলে দিন পার হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দেখে জেলা মাসিক সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে নতুন ব্রীজ নির্মানের লক্ষে কথা হয়। পড়ে ব্রীজের দু’পাশে বেশী ভেঙ্গে যাওয়া এবং গভীরতার ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় মাফে পড়ে না। যার ফলশ্রুতিতে সভায় লম্বা ১৫০ ফিট ব্রীজ নির্মানের প্রস্তাব দেয়া হয় এলজিইডির উপর। এভাবেই প্রস্তাবিত আকারে রয়েছে।