কৃষিজমি বাঁচাতে মাঠে চেয়ারম্যান আসাদ


আরিফুল ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধি : ভূমি খেকোদের দমন করতে মাঠে নেমেছেন উপজেলার চেয়ারম্যান। নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার করোনা সংকটকালেও চলছে কৃষি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব। বৈধ পরিবহনগুলো বন্ধ থাকলেও পরিবেশ দূষণ করে সড়ক-মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে মাটি বোঝাই ট্রাক্টর।

অবশেষে কৃষিজমি রক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন নলডাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান মো আসাদুজ্জামান আসাদ। প্রশাসনের ওপর ভরসা না করেই ভূমি খেকোদের দমন করতে মাঠে নেমেছেন তিনি।
জানা গেছে, গত দুই দিনে উপজেলার ছয়টি পয়েন্টে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করেছেন এই চেয়ারম্যান। এ সময় নিষেধ না মানায় চেয়ারম্যান নিজেই উপস্থিত থেকে কয়েকটি ভেকুর ব্যাটারি খুলে নেন এবং ভেকু মেশিন ভাঙচুর করেন। এ অভিযানে ভূমিখেকোরা লেজ গুটাতে শুরু করেছে। আর খনন করা পুকুরের পার্শ্ববর্তী জমি নিশ্চিত জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন।
উপজেলার বাসুদেবপুরে, মাধনগর, বিপ্রবেলঘরিয়া, সরকুতিয়া ও মির্জাপুর,রামশা- কাজীপুর, পিপরুল,খাজুরা,ঝোপ দোয়ার, ব্রহ্মপুর , চাঁদপুর,খোলাবাড়িয়,ঠাকুর লক্ষীকোল, হালতি,ভুজনগাছা অসংখ্য পুকুর খনন করে সাবাড় করা হচ্ছে কৃষি জমি। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে জরিমানা করলেও থেমে থাকে না এই অবৈধ পুকুর খনন কর্মযোগ্য

এছাড়া কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উপজেলার পাকা সড়কগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মাটিবহনকারী গাড়ির কারণে। মাটির প্রলেপে ঢেকে গেছে সড়কগুলো। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব সড়কে কোনো পরিবহন চলাচল করতে পারেনা।

ভুক্তভোগী কৃষকরা বলেছেন, প্রশাসনকে বলেও পুকুর খনন বন্ধ হয়না। উপজেলার চেয়ারম্যান তাদের ফসলি জমি বাঁচানোর জন্য শান্তির দূত হয়ে মাঠে নেমেছেন।
কৃষি ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী একশ’ বছরেও নলডাঙ্গায় আর একটি পুকুরের প্রয়োজন হবে না।
হালতিবিল জীব- বৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী বলেন, এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে আগামী সাত বছর পর নলডাঙ্গা কোনো কৃষি জমি থাকবে না।
নলডাঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেলে বন্ধ করছি ও আইনগতভাবে ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
নলডাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা না থাকায় মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছি। পুকুর খননের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।