খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন ইসরাফিল আলম এমপি


রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনের সংসদ সদস্য মো: ইসরাফিল আলম পৌনে এক কোটি টাকার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থীতিতে তার “মানবিক খাদ্য সহায়তা কেন্দ্র” থেকে গত এক মাসে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। সারাদেশে করোনা ভাইরাস রোধে সামাজিক জন দূরত্ব বজায় রাখতে সকল প্রকার গণপরিবহন, হাট-বাজার বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরিবহন শ্রমিক, রিক্সা-ভ্যান চালক, চা ও খাবারের দোকান মালিকসহ গরীব অসহায় দুঃস্থ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এসব কর্মহীন, দুস্থ্য ও অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে নিজ সংসদীয় এলাকার একজন মানুষও যেন অভুক্ত না থাকে সে লক্ষে রাণীনগরে “মানবিক খাদ্য সহায়তা কেন্দ্র” খোলেন এমপি ইসরাফিল আলম। স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অংঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী ও জন প্রতিনিধিদের সহায়তায় তালিকা তৈরি করে বাড়ি বাড়ি খাদ্য পৌছে দেয়া হয়। এছাড়া খুব সহজেই খাদ্য সহায়তা পেতে ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশা পাশি হটলাইন, অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম চালু করা হয়।গত ২৯ মার্চ থেকে এসব সেবা চালু করে রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলার প্রায় ১৯ হাজার চারশত পরিবারে চাল, ডাল, তৈল, লবন, কাঁচামরিচ, করলা, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, বেগুন ও সাবান বিতরণ করেন। মানবিক খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রের তথ্য মতে, গত এক মাসে প্রায় ৭৬ লক্ষ সাড়ে ২৬ হাজার টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন এমপি ইসরাফিল আলম। পাশা পাশি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, সেচ্চা সেবক ও সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাঁচ হাজার পিস সাধারণ মাস্ক, এক হাজার পিস হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ছয় হাজার পিস সার্জিক্যাল মাস্ক, দুই হাজার পিস সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাবস, দুই হাজার পিস সার্জিক্যাল হেড ক্যাপ ও চারশত পিস পি’পি’ই বিতরণ করা হয়েছে। দূর্যোগকালীন সময়ে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পেতে সহায়তা হিসেবে সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে সবজি কিনে খাদ্য তালিকায় যোগ করেন এমপি ইসরাফিল আলম। সংক্রমন প্রতিরোধে দুই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাত ধোয়ার জন্য সাবানসহ বেসিন স্থাপন এবং সচেতনতা বাড়াতে সাংসদের কণ্ঠে রেকর্ডকৃত বক্তব্য গ্রামে গ্রামে মাইকের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করেন তিনি। সাংসদ মো: ইসরাফিল আলম বলেন, গত এক মাসে রাণীনগর-আত্রাই উপজেলার প্রায় ১৯ হাজার চারশত পরিবারে ৭৬ লক্ষ সাড়ে ২৬ হাজার টাকার খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি। বর্তমানে ধান কাটা-মাড়াই মৌসুম চলছে। এই সময়ে অধিকাংশ দরিদ্র ও শ্রমিকরা কাজ কর্ম করে খাদ্য ঘার্তি নিবারণ করছেন। পাশা পাশি সরকারও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। তাই লক ডাউন চলাকালে “মানবিক খাদ্য সহায়তা কেন্দ্র” থেকে বৃদ্ধ, একেবারে অসহায়, হত দরিদ্র এবং শারীরিক অক্ষম ব্যক্তিদের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।