চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের


ফয়সাল আজম অপু: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ৪ নং মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুর রহমান মিয়া ও গ্রাম পুলিশ ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে গরীব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের চল্লিশ দিনের কর্মসূচীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এরইমধ্যে ৯ জুন মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভুক্তভোগী ৫ জন লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। জেলা প্রশাসন অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন।

অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, চল্লিশ দিনের কর্মসূচীর টাকা ব্যাংক থেকে ভুক্তভোগীদের মাধ্যমে তুলে তা আবার জমা নেয় গ্রাম পুলিশ ও চেয়ারম্যান। টাকা নিয়ে শুধুমাত্র ১০ কেজি করে চাল দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মো. তোহিদুর রহমান মিয়া টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন। ভুক্তভোগীরা টাকার দাবি করলে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিতে বলেন।

লিখিত অভিযোগকারী ৫ জন হচ্ছেন, মোবারকপুর মাঝাটোলা গ্রামের মৃত তবজুল হকের ছেলে মো. মুনসুর আলী, মৃত খাজিরউদ্দিনের ছেলে শওকত, মৃত শিকান্দারের ছেলে মুনিরুল ইসলাম, মো. লাইসের স্ত্রী মোসা. শহর বানু ও চান মোহাম্মদের ছেলে লাইস।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে যোগাযোগ করা হলে জানা গেছে যে, এখনও এ সংক্রান্ত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভুক্তভোগী মুনসুর আলী জানান, গত সোমবার রাতে গ্রামপুলিশ ইউসুফ আমার বাড়িতে এসে আমাকে পরদিন সকাল ১০ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন। পরদিন ২ কপি ছবি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসলে চেয়ারম্যান অগ্রণী ব‍্যাংক মোবারকপুর শাখায় যেতে বলে। ব্যাংকে গিয়ে ৮ হাজার টাকা নিয়ে এসে চেয়ারম্যানকে দিয়ে দি। পরে শুধু ১০ কেজি চাল দিয়ে চলে যেতে বলে।

অরেক ভুক্তভোগী শওকত জানান, আমিও ব‍্যাংকে টাকা তুলি। সেই টাকা গ্রাম পুলিশ ইউসুফ নিয়ে নেন এবং বলেন চেয়ারম্যান টাকা গুলো নিবেন।

উল্লেখ্য, এর আগেও চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান মিয়ার বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি বলেও জানা গেছে। এলাকার গরীব দুস্থ মানুষের এখন একটাই দাবী জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসন যেন সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।