জনগণের দুঃখ-দুর্দশার সঙ্গে উপহাস করছে বিএনপি: কাদের


রাপ্র ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‍‘দেশ যখন করোনার করালগ্রাসে বিপর্যস্ত তখন জনগণের প্রত্যাশা ছিল যে, বিএনপি ত্রাণ সাহায্য নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের যখন ঈদ শপিং না করে, সেই অর্থ অসহায় জনগণের মাঝে বন্টনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তখন বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে, ত্রাণের পরিবর্তে দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদ উপহার বিতরণ করছে। যা জনগণের দুঃখ-দুর্দশা সঙ্গে উপহাসের শামিল।’

সোমবার (১১ মে) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি দিচ্ছে আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা। এসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বয়স্ক অসহায়দের পাশে দাঁড়তে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সারা দেশে আওয়ামী লীগ পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রম নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা ইতিমধ্যে দেখেছেন- ত্রাণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে শেখ হাসিনা সরকার কঠোর অবস্থানে। যারা অনিয়ম করবে দলীয় পরিচয়ে তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান এখনও চলমান।’

করোনার বিস্তাররোধে সরকার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সক্ষমতা বাড়াচ্ছে দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধারাবাহিকতায় নতুন করে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অতিসম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের নতুন করে ২ হাজার ডাক্তার এবং ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। ২ হাজার চিকিৎসকে করোনা বিষয়ক কোভিড হাসপাতালগুলোতে প্রদান করা হয়েছে। সম্মুখ সারিতে তারুণ্যের শক্তি যোগ হওয়ায় লড়াইয়ে নতুন গতি সঞ্চয় করবে বলে মনে করি।’

ব্যবসাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না জানিয়ে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘গরীব, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের জীবিকার স্বার্থে সরকার সাধারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করেছে। দুর্ভাগ্যজনক যে প্রথম দিনেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়, শারীরিক ও সামাজিক গুরুত্বের বিষয়টি অনেকেই উপেক্ষা করেছেন। দোকান-পাট ও ব্যবসা কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে না। ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল লক্ষ্য করা যায়। এই উপেক্ষা পকারন্তরে নিজেদের ও আশপাশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। তথা করোনা বিস্তারে উৎসাহিত করবে।’

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না করোনা মোকাবেলায় সবচেয়ে সাফল্যের দাবিদার যে দেশটি, সেই দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় পর্যায় করোনার আক্রমণ শুরু হয়েছে। এ পর্যায়ে আবারও কোরিয়া সরকার লকডাউনে যেতে হচ্ছে বলেও যোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।