তুরস্ক যেন মৃত্যুপুরী


ছবি : রয়টার্স

সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পাঁচ  হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সময় যত বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যাও তত বাড়ছে। মৃত্যুর এই মিছিল আরও লম্বা হবে বলে ধারণা করছেন উদ্ধার সংশ্লিষ্টরা। একই শঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। এদিকে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। কারণ, গতকাল রাতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যহত হয় উদ্ধার কার্যক্রম। অন্যদিকে, আরও বেশি সময় পার হলে আটকে পড়া মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে যাবে। এদিকে, দুর্যোগের মাত্রা ত্রাণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। খবর রয়টার্সের।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকদের বাঁচাতে উদ্ধারকারীরা লড়াই করছে। যদিও সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হতাশা বাড়ছে। একইসঙ্গে, দুর্যোগের মাত্রা ত্রাণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।

সিরিয়ার সীমান্তের কাছে তুর্কি শহর আন্তাকিয়ার রাস্তার পাশে ভেঙ্গে পড়া ১০ তলা ভবনের পাশে ডজন সংখ্যক ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালাতে দেখেছেন রয়টার্সের সাংবাদিকরা।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৩৮১ জনে পৌঁছেছে। ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা এখন দেড় হাজারের বেশি।

সোমবার সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্প হয়। আর আজ তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। তুরস্কের গোলবাসি শহরের কাছে মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) ৩টা ১৩ মিনিটে ফের ভূমিকম্প হয়েছে। নতুন এই ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল পাঁচ দশমিক পাঁচ বা তার ওপরে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার দাবি, তুরস্কের গোলবাসি শহরের কাছে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল পাঁচ দশমিক পাঁচ। যদিও ফ্রান্স-ভিত্তিক ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের দাবি, ভূপৃষ্ঠের ২ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল এবং ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল পাঁচ দশমিক ৬।