দুর্গাপুরে অবৈধভাবে পুকুর খননের অভিযোগে ভেকু দালালকে একলক্ষ টাকা অর্থদন্ড


দুর্গাপুর প্রতিনিধি: ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন। অবৈধভাবে পুকুর খননের অভিযোগে এক ভেকু দালালকে একলক্ষ টাকা অর্থদন্ড দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত। রাজশাহীর দুর্গাপুরে যেখানেই ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন সেখানেই ভ্রাম্যমান আদালাতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফসলি জমি নষ্ট করে আর কোন পুকুর খনন করতে দেওয়া হবেনা এমন-ই শক্তপোক্ত সিদ্ধান্তে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুকুর খনন বন্ধে দুর্গাপুর উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল ১৯ ফেব্রুয়ারী দুপুর ২টা হতে  মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার নওপাড়া, কিশমত গনকৈড়, পৌরসভা, ঝালুকা ইউনিয়ন সহ উপজেলার বেশকিছু স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
রাতের আঁধারে পুকুর খনন করা হচ্ছে এমন খবরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃঞ্চচন্দ্র এর নেতৃত্বে  রাত ৯টার দিকে উপজেলা ঝালুকা ইউনিয়নের আমগাছী-বন্ধনপুর বিলে ভ্রাম্যমান আদালত হানাদেয়। সেসময় পুকুর খনন করার অভিযোগে গৌরিহার গ্রামের আনসার আলী (৫২) নামের এক ভেকু দালালকে আটক করলে অন্যান্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।  আটককৃত ভেকু দালাল আনসার আলী পুকুর খনন করবেনা বলে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট অঙ্গিকার করে ভূলস্বীকার করলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কৃঞ্চচন্দ্র পুকুর খনন করবেনা মর্মে মুচলেকা নিয়ে প্রাথমিকভাবে ক্ষমা করে ভেকু দালাল আনসার আলীকে একলক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট দন্ডিত অর্থ প্রদানের মাধ্যমে আটক থেকে মুক্ত হন ভেকু দালাল আনসার আলী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার আলী, আমগাছী সাহারবানু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান হাবিব,  ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন সাহ, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সহ দুর্গাপুর থানা পুলিশের সদস্যবৃন্দ। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃঞ্চচন্দ্র বলেন, উচ্চ আদালতের নিশেধাজ্ঞা রয়েছে ফসলি নষ্ট করে কোথাও পুকুর খনন করতে দেওয়া হবেনা। ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে।  দুর্গাপুর উপজেলায় ফসলি জমিতে পুকুর খনন করার চেষ্টা করলে  সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর জন্য বলেন তিনি। তারপরও কেউ যদি আইন অমান্যকরে পুকুর খননের চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।