দুর্গাপুরে সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ


দুর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের বখতিয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুলতানুল ইসলামের  বিরুদ্ধে লক্ষনখলসি ইউনিয়ন তহসিল অফিসের সরকারি জমি জবর দখল করে প্রাচীর নির্মানের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে স্থানীয় লোকজন জানান, তহসীল অফিসের প্রাচীরের পাশ দিয়ে বিগত ৪০ বছর ধরে এই এলাকার জনসাধারন চলাচল করে আসছে। এরই মধ্যে ওই জমি সাবেক প্রধান শিক্ষক সুলতানুল ইসলাম নিজের জমি দাবি করে গত শুক্রবার জোর পূর্বক একটি প্রাচীর নির্মান করে এই এলাকার জনসাধারনের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করেদেন। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বখতিয়াপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক নাজিমুদ্দিন বলেন, বিগত ৪০ বছর যাবৎ এই রাস্তায় আমরা চলাচল করে আসছি। এছাড়াও প্রতিদিন স্কুল কলেজের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনেক রোগী এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। গত শুক্রবার হটাৎ করে এই জমি জবর দখল করে সুলতানুল ইসলাম প্রাচীর নির্মান করে রাস্তাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। জমি দখলের ঘটনায় ওই গ্রামের অভিভাবক মহলে তীব্রক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে সুলতানুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক সুলতানুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অাবেদন করলে ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা ভূমি সহকারি কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে প্রাচীর নির্মান করেছি।
লক্ষনখলসি ইউনিয়ন তহসীল অফিসের নায়েব তানভীর হোসেন জানান, তহসীল অফিসের আর এস ১৯৩৯ দাগে মোট ৮৭ শতক জমি রয়েছে তারই ঠিক উত্তর পাশের প্রাচীরের সাথে বখতিয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুলতানুল ইসলামের আর এস ২১ দাগে জমি রয়েছে ৭ শতক যা বর্তমানে মাঠিয়াল রয়েছে। কিন্তু তিনি তহসীল অফিসকে না জানিয়ে জমি পরিমাপ করে একটি প্রাচীর নির্মান করেন যা সম্পূর্ন অবৈধ।
তিনি আরও জানান, প্রাচীর নির্মানের খবরটি জানতে পেরে এই এলাকার জনসাধারন প্রাচীরের ইট গুলো ভেঙ্গে ফেলে। পরে সুলতানুল ইসলাম পুনরায় খেজুর গাছের গুড়ি এবং কাটা দিয়ে প্রাচীরের পাশের রাস্তাটি বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সসুলতানুল ইসলামের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়ে কোন লিখিত আবেদন আমি পাইনি এবং আমি তাকে অনুমতি দেয়নি তিনি যা বলেছেন সম্পূর্ন ভিত্তিহীন বানোয়াট। তবে ইউনিয়ন তহসিলদার আমাকে বিষয়টি অবগত করেছিলেন। সরকারি জমি যদি কেউ জবর দখল করে থাকে এবং বিষয়টি সত্য হলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।